Tejaswini project, Jhargram, মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে জড়িত মহিলাদের আত্মরক্ষার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যেগ, শুরু হলো “তেজস্বিনী” প্রকল্প

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৪ ডিসেম্বর: মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ও মেডিক্যালের সাথে জড়িত মহিলাদের আত্মরক্ষার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যেগে শুরু হলো “তেজস্বিনী”প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আত্মরক্ষার জন্য কোরিয়ান মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ও মহিলাদের।

রাজ্যের মধ্যে এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার শিবির এই প্রথম বলে জানা গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রাম গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহার উদ্যেগে তেজস্বিনী প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। ১ মাস ধরে প্রতি সপ্তাহে ২ দিন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ও মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তেজস্বিনী প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা, ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল আগারওয়াল, ঝাড়গ্রাম গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সুস্মিতা ভট্টাচার্য, ঝাড়গ্রামের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবন চন্দ্র হাঁসদা, হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সরকার সহ অন্যান্যরা।

জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম গর্ভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বর্তমানে ৬২ জন ছাত্রী প্রথম পর্যায়ে তেজস্বিনী প্রকল্পের মাধ্যমে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে চলেছে। মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী এবং মেডিক্যাল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের ২৪ ঘন্টা মানুষকে পরিষেবা দিতে হয়। সেই জায়গায় এই আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ তাঁদের কাছে অনেক গুরুত্ব রাখবে। মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মেহের তেহেসিম, ঋদ্ধি সাহা বলেন, “মেডিক্যাল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মেডিক্যাল ছাত্রী এবং মহিলাদের দিন- রাত ২৪ ঘন্টা মানুষকে পরিষেবা দিতে হয়। সেই জায়গায় আমাদের সুরক্ষাটা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। আমরা যদি মার্সাল আট শিখে নিজেদের আত্মরক্ষা করতে পারি তাহলে এটা আমাদের সবচেয়ে বড় পাওনা হবে। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”

ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে মহিলাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণের প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু এই প্রথম মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী এবং মহিলাদের জন্য আত্মরক্ষার জন্য আমরা তেজস্বিনী নামের একটি প্রকল্প চালু করলাম। যার মাধ্যমে কলেজের ছাত্রী এবং মহিলারা নিজেদের আত্মরক্ষা করতে পারবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *