আমাদের ভারত, ২১ সেপ্টেম্বর: “উর্দু বলবে বাঙালি। কবর থেকে সালাম বরকতের হাড়গোড় তুলে পুড়িয়ে দিয়ে হয়তো উর্দুকে একদিন রাষ্ট্র ভাষা করবে। পাকিস্তানের পতাকাও কায়দা করে ওড়ানো হয়েছে কিছুদিন আগে।” সামাজিক মাধ্যমে এভাবেই বাংলাদেশের অবস্থা বর্ণনা করলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
তিনি লিখেছেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ইসলামি জলসার ধুম পড়েছে। টুপি পরে শত শত ছাত্র উর্দু ভাষায় ইসলামি সঙ্গীত গাইছে। জায়গায় জায়গায় লা ইলাহা লেখা ইসলামি পতাকা উড়ছে। শুধু জিহাদিরা নয়, সেনাবাহিনীও স্লোগান দিচ্ছে নারায়ে তকবির আল্লাহু আকবর।
রাজাকারের হাতে দেশ। এই সময় খুব স্বাভাবিক যে স্বাধীনতার শত্রু রাজাকারের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টা হবে, দেশটাকে পাকিস্তানের অংশ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বহু লোক। বাংলাদেশ বেতারও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে উর্দু অনুষ্ঠান চালু করার। বেশ তো, মুসলমানের ভাষা আরবি তো মকশো করা গেল না, অতএব হিন্দি সিনেমা দেখে দেখে হিন্দি জানা হয়েছে যখন, হিন্দি জানলে উর্দু তো কঠিন কিছু নয়।
শুনেছি ঢাকা করাচি ফ্লাইটও নাকি চালু হতে যাচ্ছে। শুনেছিলাম পাকিস্তানের ভিসাও নাকি ফ্রি করে দিচ্ছে। তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে একাকার হয়ে যেতে চাইলে পাকিস্তান কি রাজি হবে? আমার তো মনে হয় না। এই ছোট ছোট কালো কালো আনকুথ বাঙালিগুলোকে শুরু থেকেই লম্বা চওড়া ফর্সা ফর্সা পাঞ্জাবিরা ঘৃণা করেছে, ছোটলোক বলে ওয়াক করেছে। পাকিস্তানিরা আর যাকে নিয়েই পথ চলতে চাক, ইডিয়েট বাঙালিগুলোকে নিয়ে একদমই নয়।”