সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২১ সেপ্টেম্বর: আর জি কর কান্ডের জেরে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার হতেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা ত্রাণ সংগ্রহ করে বন্যা কবলিত এলাকায় পরিষেবা দিতে নেমে পড়লেন। তাদের বক্তব্য, আন্দোলন যেমন চলছে চলবে, তবে সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ব হিসাবে তারা বন্যা দুর্গতদের জন্য পরিষেবা চালিয়ে যাবেন।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা শুক্রবার সকাল থেকেই ত্রাণ নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্য পাড়ি দেন। এক দল জুনিয়র চিকিৎসক ত্রাণ সংগ্রহ করে রওনা দেন পাঁশকুড়ার বন্যা কবলিত এলাকায়। ত্রাণের পাশাপাশি ওষুধ ও চিকিৎসা পরিষেবাও দেবেন তারা। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরর্স ফ্রন্ট জানিয়েছিল, বন্যা দুর্গত এলাকায় ক্লিনিকের পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরও করবে তারা। সেই ঘোষণা অনুসারেই শুক্রবার থেকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা সেই কাজে নেমে পড়েন।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। শুক্রবার সকালে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি টিম ম্যাটাডরে করে পাঁশকুড়ার পথে রওনা দেন। চাল, ডাল, আলু, মুসুর ডাল, বিস্কুট, সয়াবিন, চিঁড়ে, চিনি, ভোজ্য তেল, মোমবাতি ও পর্যাপ্ত ওষুধ বোঝাই করে তারা পাঁশকুড়া রওনা দেন। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ নেই সেখানে মোমবাতিও বিতরণ করবেন তারা। অভয়া স্বাস্থ্য ক্লিনিক খোলা হবে বলেও জানান তারা।
আরজি করের ঘটনার পর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতায় স্বাস্থ্যভবনের সামনে টানা কর্মবিরতিতে ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুক্রবার সেই অবস্থান তুলে স্বাস্থ্যভবন থেকে মিছিল করে সিজিও কমপ্লেক্স যাওয়ার পর নিজেদের মেডিক্যাল কলেজে ফিরে এসে আংশিক পরিষেবা দিতে শুরু করেছেন। ওপিডি এবং কোল্ড ওটি’র (কোল্ড ওটি মানে পরিকল্পিত ওটি) ক্ষেত্রে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলেও তারা জানিয়েছে। তবে সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ব হিসাবে সর্বশক্তি দিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়াবেন তাঁরা। সাধারণ মানুষ দু’হাত তুলে তাদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। তারা জনসাধারনের কাছে ঋণী। তবে প্রাতিষ্ঠানিক থ্রেড কালচার, ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদ চলবে।