আমাদের ভারত, ২৬ ডিসেম্বর: ‘বীর বাল দিবস’ উপলক্ষে ‘দেশ, ধর্ম ও শাশ্বত সংস্কৃতি রক্ষায় আত্মত্যাগী গুরু শ্রী গোবিন্দ সিং’জি মহারাজের চার সাহেবজাদাকে’ শ্রদ্ধা জানালেন ভারতীয় যুব জনতার রাজ্য সহ সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
তরুণজ্যোতি বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমে বীর শহিদদের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, “শতকোটি প্রণাম। তাঁদের অদম্য সাহস, অটল নৈতিকতা ও অকুতোভয় বীরত্ব ভারতীয় ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। এই অসাধারণ গৌরবগাথা ধর্ম, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁদের আত্মত্যাগ ভারতীয় সমাজকে সৎ পথে চলার, ন্যায়ের জন্য লড়াই করার এবং দেশের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার পথে এগিয়ে যেতে চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে।
আজকের দিনটা পালন হয় বীর বাল দিবস হিসাবে। ২৬ ডিসেম্বর ‘বীর বাল দিবস’ গুরু গোবিন্দ সিং’জির দুই বীর পুত্র শহিদ জোরাবর সিং’জি ও শহিদ ফতেহ
সিং’জির আত্মবলিদান দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।”
কথিত আছে, মুঘলরা অতর্কিতে আনন্দপুর সাহেবের দুর্গ আক্রমণ করে।সাহেবজাদা বাবা অজিত সিং এবং বাবা জুজর সিং শহিদ হন। মুঘলরা সাহেবজাদা বাবা জোরওয়ার সিং এবং বাবা ফতেহ সিং উভয়কেই বন্দি করেন। উজির খান উভয় সাহেবজাদাকে তাঁর দরবারে ডেকে তাঁদের ধর্মান্তরিত করার হুমকি দেন। কিন্তু উভয় সাহেবজাদাই ‘জো বোলে সো নিহাল, সত শ্রী আকাল’ স্লোগান দিতে দিতে ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করেন। উজির খান ক্ষুব্ধ হয়ে উভয় সাহেবজাদাকে প্রাচীরের মধ্যে জীবন্ত কবর দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং তাঁরা শহিদ হন।
অন্যদিকে, বীর বাল দিবসে দুই সাহসী বালকবীরকে শ্রদ্ধা জানালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
দিলীপবাবু বৃহস্পতিবার এক্স বার্তায় লিখেছেন, “এই দিনে, দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিং-এর মাত্র ৫ এবং ৮ বছর বয়সী দুই পুত্র জোরাওয়ার সিং এবং ফতেহ সিংকে মুঘলরা জোর করে ধর্মান্তরকরণের চেষ্টা করে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিল। আওরঙ্গজেব এই দুই সাহসী ‘আত্মার’ জীবন্ত কবর দিয়েছিলেন। বীর বাল দিবসে তাদের অসাধারণ সাহসের শ্রদ্ধা জানাই।