আমাদের ভারত, ২৭ সেপ্টেম্বর: শুক্রবার একটি ভিডিয়ো-সহ এক পুর কাউন্সিলরের দুর্নীতি ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
৩ মিনিট ২৪ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োর সঙ্গে শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, “তোলামূল কংগ্রেসের ঝাড়ের সব বাঁশ-ই সমান।” দুর্নীতি এবং এদের নেতা নেত্রীরা সমার্থক। কলকাতা পুরসভার আরও এক “স্কোয়ার ফুট কাউন্সিলর” কে চিনে রাখুন। ১২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্রীমতি ছন্দা সরকার এক প্রোমোটার এর সাথে রফা করছেন:-”
ভিডিয়োর অভিযুক্তকে বলতে শোনা যাচ্ছে, (এই প্রতিবেদক এর সত্যতা যাচাই করেনি) “বর্গফুটপিছু এর জন্য দেড়শো টাকা করে নেয়। আমি সেটাও বলছি না। আমাকে ৮০ টাকা করে দিলেই হবে।” নির্মাতার তরফে জানতে চাওয়া হয়, “কীভাবে হবে হিসাব?” জবাবে কাউন্সিলর বলেন,“জমিটার তো হিসাব আছেই। সেটা থেকেই পাওয়া যাবে।” এর পর একটা রফায় এলে কাউন্সিলর বলেন, “তোমরা কাজ কোরো। নির্মাতার তরফে তখন বলা হয়, “পৌষ মাসটা যাক, তারপর।” কাউন্সিলর বলেন,“আচ্ছা ঠিক আছে।”
বেহালা-ঠাকুরপুকুরের শীলপাড়া, থ্রিএ টার্মিনাস ও সংলগ্ন কিছু অংশ নিয়ে পুরসভার ওই ওয়ার্ড। ছন্দা সরকার এবারই প্রথম কাউন্সিলর হয়েছেন। কথাবার্তা সরল-সাধাসিধা। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে দুই আগন্তুকে চা পরিবেশন করা হয়েছে। তাঁরা চা পান করতে করতে কথা বলছেন। তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে আলোচনা করছেন
কাউন্সিলর।
এ ব্যাপারে ছন্দা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ। কী বলি বলুন তো! আমাকে দেখে কি আপনার মনে হয় আমি ওই কাজ করতে পারি? আমি তো সোস্যাল মিডিয়া বুঝি না। সাবেকি লোক। মোবাইল ফোন সম্পর্কেও পুরো ধারণা নেই। আমরা পুরনো কংগ্রেসি ঘরানার। বাবা প্রফুল্ল সেন, অতুল্য ঘোষের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। আমি কাউন্সিলর হওয়ার দৌড়ে ছিলাম না। আমার ভাবমূর্তি দেখে দিদি আমাকে বেছেছেন। আমার ভাই….।”
এই প্রতিবেদক তাঁকে থামিয়ে প্রশ্ন করেন, “কিন্তু ভিডিয়োতে শুনলাম, দেখলাম। আপনি কি অভিযোগ অস্বীকার করতে পারেন?” তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, এটা আমার দলেরই একাংশের চক্রান্ত। যাঁদের খারাপ কাজে আমি সমর্থন করছি না, এ সব তাঁদের কাজ।” আপনি কি দল এবং পুলিশের কাছে কারও নামে মানহানির অভিযোগ করেছেন? কাউন্সিলর বলেন, “দেখি! আলোচনা করে দেখতে হবে।”