Suvendu, BJP, দেশের সাংবিধানিক গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপক্ষতার উপর সরাসরি আঘাতের অভিযোগ শুভেন্দুর

আমাদের ভারত, ১৮ মে: “রাজ্যে শুধু একটি সম্প্রদায়ের দ্বারা হিন্দুদের উপর বার বার এই ধরনের আক্রমণের ঘটনা দেশের সাংবিধানিক গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপক্ষতার উপর সরাসরি আঘাত হানছে।” রবিবার এক্সবার্তায় এই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি লিখেছেন, “গতকাল রাতে পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার রতুয়া’য় কিছু চরমপন্থী জেহাদি, হিন্দুদের উপর আবারও একটি পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। নির্মীয়মাণ একটি মন্দিরকে কেন্দ্র করে এই হামলা চালানো হয়। একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের কাছে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের ধর্মাচরণ করাটাই এখন ‘অপরাধ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের। কালকের ভয়াবহ হামলায় নির্বিচারে ইঁট ও পাথর ছোঁড়া হয়, যার ফলে এলাকায় ভয় ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ তৈরী হয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশ সেখানে অনুপস্থিত ছিল। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রশাসনের এই উদাসীনতা অত্যন্ত উদ্বেগের। হামলার সময়ে একাধিক দোকান ও ঘরবাড়ি লুটপাট ও ভাঙ্গচুর করা হয়েছে :

** অশোক ঘোষ-এর মুদি দোকান ভাঙ্গচুরের পর তা লুটপাট করা হয়েছে।

** কল্যাণ সাহা-র দোকান এবং তার দোকানে থাকা জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে। তার বাড়ি এবং ব্যক্তিগত গাড়িটিও ভাঙ্গচুর করা হয়েছে।

** শেখর সাহা-র দোকান এবং সেখানে থাকা নগদ টাকা লুট করা হয়েছে। পাশেই একটি সারের দোকান ছিল সেটিও লুট করা হয়েছে।

** বিনয় সাহা-র বাড়ির দরজা ইট-পাথর দিয়ে ভাঙ্গা হয়।

** ঘটনাস্থলে থাকা একটি টোটো (ই-রিকশা) সম্পূর্ণভাবে ভাঙ্গচুর করা হয়।

** একটি স্থানীয় চায়ের দোকানও ভাঙ্গচুর করা হয়।

এই ঘটনায় আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে মালদার জেলা শাসক, মালদার পুলিশ সুপার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং রাজ্যের মুখ্য সচিবকে তথ্য সহ অবহিত করেছি এবং দ্রুত হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছি।

আমরা অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, দোষীদের গ্রেফতার, আক্রান্ত পরিবারগুলির সুরক্ষা এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *