Sukanta, Dilip, সহবত ও সৌজন্যের সাথে একতার বার্তা! কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব গ্রহণের আগে অগ্রজ দিলীপ ঘোষের পা ছুঁয়ে প্রণাম সুকান্তর

আমাদের ভারত, ১১ জুন: বঙ্গ রাজনীতিতে মঙ্গলবার যে ছবি সবচেয়ে বেশি ভাইরাল, তা হচ্ছে সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার আগে অগ্রজ দিলীপ ঘোষের পা ছুঁয়ে প্রণাম করছেন সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার নিজের দপ্তরে যাওয়ার আগে সুকান্ত সোজা যান দিল্লিতে দিলীপের বাসভবনে। দিলীপ ঘোষও একাধিক বৈঠকের কারণেই দিল্লিতে রয়েছেন। ফলে সুকান্ত মজুমদার তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন, তাঁর পাঁ ছুঁয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে তাঁর নতুন সফর শুরুর আগে তাঁর এই সৌজন্যতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এটা কি কেবলই সৌজন্যতা, নাকি বিরোধীরা যখন বঙ্গ বিজেপির তিন স্তম্ভের মধ্যে বিরোধ হয়েছে বলে খোঁচা দিয়ে প্রচারে ব্যস্ত, তখন আবারও সুকান্ত নিজে দায়িত্ব নিয়ে একতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন।

দিল্লির মাটিতে দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের এই সাক্ষাৎ বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দিলীপ ঘোষের বাড়িতে যাওয়ার প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, উনি প্রবীণ নেতা, ওনার কাছে রাজনীতিতে অনেক কিছু শিখেছেন। মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব নিতে যাওয়ার আগে ওনার পা ছুঁয়ে একটা প্রণাম করা দরকার বলে মনে হয়েছে, তাই প্রণাম করেছেন।

তবে সুকান্ত মজুমদারের এই সাক্ষাতে প্রত্যাশিতভাবে উঠে এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর নাম। বঙ্গ বিজেপির তিন কুশীলব বলতে সুকান্ত, দিলীপ, শুভেন্দুকেই চেনেন সকলে। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর শুভেন্দুর সঙ্গে দিলীপের বিরোধিতা প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে অনেকেই দাবি করেছেন। অনেকেই বলেছেন, দিলীপ ঘোষের পরাজয়ের কারণ তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বদল। আর এর পেছনে নাকি রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। দিলীপ ঘোষও প্রকাশ্যেই নিজের আসন বদলকেই পরাজয়ের কারণ বলেছেন।

কিন্তু এরই মধ্যে সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবার পর দিলীপ ঘোষের বাড়িতে এইভাবে ছুটে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন। কারণ এই ছবি বঙ্গ বিজেপির লড়াইয়ের ময়দানে একসাথে লড়াইয়ের বার্তা দেয়। যা কিনা নীচুতলার কর্মীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে আচকা আচকির সম্পর্কের কথা আসলে ইচ্ছে করে কোন্দল তৈরি করতে তৃণমূল বেনামে করেছে বলে মনে করছে বঙ্গ পদ্ম শিবিরের একটা বড় অংশ।

কিন্তু ভোট প্রচারের সময় অত্যাধিক গরমে দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারকে একসাথে পান্তা খেতে দেখে যেভাবে দলের কর্মীকুল উদ্দীপনা পেয়েছিল, মনে করা হচ্ছে আশানুরূপ ফল না হওয়ার ফলে মন ভেঙে যাওয়া কর্মীদের জন্য স্বস্তির বার্তা হবে। কারণ নেতাদের মধ্যেকার একতাই আসলে কর্মীদের মনোবল হিসেবে কাজ করে। ফলে রাজনীতির ময়দানে সুকান্ত মজুমদার তুলনামূলক নবীন হলেও এই সব পদক্ষেপ আসলে তাঁর অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হবার দিকে এগিয়ে যাওয়া বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *