আমা, ২২ ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সন্দেশখালিতে ফের অশান্তি। থানার সামনে ধর্নায় বসা সুকান্তবাবুকে তুলে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, তিনি ১৪৪ ধারা ভেঙেছেন। থানার সামনে ধর্না করতে দেওয়া যাবে না। তাঁকে সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে তুলে আটকের পর টোটোয় চড়িয়ে একেবারে সন্দেশখালির ঘাটে নিয়ে গিয়ে লঞ্চে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের বোটে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়।
সন্দেশখালি থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলতে গেলে থানার মূল গেটেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি ধর্নায় বসে পড়েন। বলেন, শাহজাহানকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত উঠবেন না। তাঁকে ঘিরে সমর্থক-কৌতুহলিদের ভিড় জমে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘণ্টাখানেক ধর্না অবস্থান চলার পরেই ১৪৪ ধারার কারণ দেখিয়ে অবস্থান তুলে নিতে বলে পুলিশ। হঁশিয়ারি দেওয়ার পর সুকান্ত মজুমদারকে ৫ মিনিটের সময় দিয়েছিল পুলিশ। বলা হয়েছিল থানার সামনে থেকে উঠে যেতে। সেই নির্দেশ না মানায় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে আটক করে পুলিশ। একগুচ্ছ উর্দি পড়া পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর ওপর।
সেই সময় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের বচসা শুরু হয়। তার মাঝেই পুলিশ সুকান্তকে সেখান থেকে টেনে সরিয়ে টোটোয় করে ফেরি ঘাটের দিকে নিয়ে যায়। এর পর লঞ্চে করে বিজেপি নেতাকে ধামাখালি নিয়ে যায় পুলিশ। নদীতে এই যাত্রার সময়েই ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় সুকান্ত মজুমদারকে। মুঠোফোনে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছিল। জামিনে মুক্তিও দিয়েছে। কিন্তু আমি এখন কোথাও নড়ব না। আমার দলের কর্মী-সমর্থকরা যতক্ষণ না আসবে, আমি কলকাতা ফিরব না।”
ফেরিঘাটের কাছেই সংবাদমাধ্যকে আটকে দেয় পুলিশ। তা সত্বেও বিজেপি-র মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঘটনার ভিডিও দেওয়া হয়েছে। জানাগেছে, নতুন করে আরও ৯ জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই পুলিশ সুকান্ত মজুমদারকে অবস্থানে আর বসতে দেয়নি।