আমাদের ভারত, ২৮ জানুয়ারি: স্কুলে সরস্বতী পুজো করতে এবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই হুমকির ভিডিও পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, এই ঘটনা রাজ্যের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও হতাশাজনক। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহত্তর বাংলাদেশ তৈরি করতে চাইছেন পশ্চিমবঙ্গকে।
নদিয়ার নগরউখড়ায় এক হিন্দু শিক্ষককে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি স্কুল চত্বরে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “উদ্বেগজনক এবং মর্মান্তিক! নদিয়ার নগরউখড়ায় স্কুল চত্বরে সরস্বতী পূজার আয়োজন করায় এক হিন্দু শিক্ষককে হুমকি দেওয়া হচ্ছে! তুষ্টিচালিত, চরমপন্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সনাতন হিন্দুদের বিশ্বাসঘাতক প্রমাণিত করেছেন। তিনি নিজেকে লুকানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এই সব ঘটনায় তাঁর আসল চরিত্র এখন রাজ্যের সবার কাছে প্রকাশ পেয়ে গেছে। ভিডিওর কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, “দেখুন, পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে স্কুলে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য মন্দির হিসেবে বিবেচিত স্কুল ইসলামি মৌলবাদী শক্তির হুমকির সম্মুখীন। অযোগ্য, হিন্দু বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার মানুষ এখন আপনার কৌশল ধরে নিয়েছে। তারা দেখতে পাচ্ছেন আপনি কীভাবে পশ্চিমবঙ্গকে “বৃহত্তর বাংলাদেশে” পরিণত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন!”
সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট করা ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় এক শিক্ষককে হুমকি দেন আরেক যুবক। সংবাদ মাধ্যমের সামনেই ওই যুবক হুমকি দিয়ে বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে।” ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ওই শিক্ষক বলেন, “আলিমুদ্দিন মন্ডল নামে এক ব্যক্তি আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছে আমাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলি করে দেবে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়েছে।”