আমাদের ভারত, ১৩ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন মহিলারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তাদের উপর শারীরিক নির্যাতনের ভয়ংকর অভিযোগ তুলেছেন তারা। আর সন্দেশখালির মহিলারা মুখ খুলতেই ঘটনা এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে পথে নেমেছেন বিরোধীরা। সেখানে গেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। এই আবহাওয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বসিরহাট পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি বলেন, “তৃণমূলের কাছে নারী প্রেম কী তা বোঝাই গেল। যদি তৃণমূলের থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিতে হয়, তাহলে কি নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাতে হবে?”
মঙ্গলবার সুকান্ত একদিকে যেমন নিখোঁজ তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের শাস্তিতে সরব হন, তেমনি কড়া ভাষায় আক্রমণ চালান তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, ওইখানকার মহিলারা নিজেরাই বলেছেন শেখ শাহাজাহান মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত, রাতের পর রাত তাদের সঙ্গে থাকতে বাধ্য করত। তিনি বলেন, এই ধরনের বিকৃত যৌন মানসিকতা সম্পন্ন লোকেদের শাস্তি পাওয়া উচিত। তিনি শেখ শাহজাহানের একাউন্টার করার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মহিলা ভোটব্যাঙ্ককে কুক্ষিগত করার অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের এই ধরণের রাজনীতির নিন্দা করে তিনি বলেন, সন্দেশখালি এমন একটা জায়গা, যেখানে তৃণমূলের মহিলা প্রেম, নারী প্রেম বের করে দিয়েছে। মানুষজন অবাক হয়ে দেখছেন। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডারে এক হাজার টাকা দিচ্ছে তো ঠিকই। কিন্তু নারী সুরক্ষা কি নিশ্চিত করতে পারছে? এরপরেই তাঁর প্রশ্ন যদি তৃণমূলের থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিতে হয় তাহলে কি নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাতে হবে?
গত সপ্তাহ থেকে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো মহিলা মুখ খুলছেন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। কেউ অভিযোগ করছেন, শাহজাহান তাদের শ্লীতাহানি করেছেন। কেউ অভিযোগ করছেন শিবু, উত্তম, আমির গাজী, রঞ্জুর মত লোকেরা দিনের পর দিন তাদের ওপর শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছেন। দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই তারা বাইরে এসেছেন। কেউ অভিযোগ করেছেন, তাদের ছোট ছোট ছেলেদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে রাজনীতিতে নামিয়েছেন জোর করে। মেয়েদের সম্মান শেষ করে ফেলেছে। বাছাই করে রাখা মেয়েদের রাত দশটার সময় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পার্টি অফিসে।