আমাদের ভারত, ১৯ ফেব্রুয়ারি: বিধানসভা অধিবেশনে মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলে উল্লেখ এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ চার বিজেপি বিধায়ককে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ডে করা, এই দুই ইস্যুতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে জোড়া চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর প্রতিবাদ করে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, এই ধরনের মন্তব্য হিন্দুদের ভাবাবেগকে আঘাত করেছে। তিনি দাবি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য বিধানসভার কার্য বিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হোক। একই সঙ্গে চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপালকে লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলুন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অসংবেদনশীল। দেশ এবং দেশের বাইরে থাকা থাকা কোটি কোটি হিন্দুদের ভাবাভেগে আঘাত করেছেন তিনি। কুম্ভমেলা শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় মেলা নয়, এটি বিশ্বাস- ত্যাগ এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। আর সেই কুম্ভকে মৃত্যকুম্ভ বলে মুখ্যমন্ত্রী অপমান করেছেন। হিন্দুদের ঐতিহ্যে এইভাবে আঘাত করে তিনি আসলে সমাজে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করছেন সুকান্ত মজুমদার।
অন্যদিকে বিধানসভা অধিবেশন থেকে শুভেন্দু অধিকারী সহ চার বিজেপি বিধায়ককে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া বাকি তিনজন বিধায়ক হলেন অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক ও বঙ্কিম ঘোষ। দলের এই চার বিধায়ককে সাসপেন্ড করা নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন,” অধিবেশনের শালীনতা বজায় রাখা দরকার বলে আমি মনে করি। কিন্তু এটা উদ্বেগের, যেসব বিধায়ক বাংলার মানুষের কথা তুলে ধরেন তাদেরই বারবার সাসপেন্ড করেন স্পিকার।” শুভেন্দু অধিকারীর উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
তিনি লিখেছেন, সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সিদ্ধান্তগুলো পুর্নবিবেচনার জন্য পরামর্শ দিতে আপনাকে অনুরোধ করছি। বিরোধী দলনেতা সহ বাকিদের উপর থেকে দ্রুত সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সাসপেনশন নিয়ে রাজ্যপালকে আলাদা করে সুকান্ত মজুমদারের এই চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।