আমাদের ভারত, ৬ এপ্রিল: রামনবমী উপলক্ষে গেরুয়া রঙে সেজে উঠেছে গোটা বাংলা। বিধানসভা ভোটের আগের বছর সারা রাজ্যে অভূতপূর্ব সারা পড়েছে রামনবমী ঘিরে। আর রামনবমী পালনের দৌড়ে হঠাৎ করে বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছে শাসক দল তৃণমূল। উত্তর থেকে দক্ষিণ রামনবমীর মিছিলে পা মিলিয়েছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। তৃণমূলের এই ভোল বদলকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন, রামায়ণে রাবণ একবারই গেরুয়া পড়েছিলেন সীতাকে হরণ করার সময়। ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির হিসেব কষেই তৃণমূল কংগ্রেস এবার রাম নবমী পালন করছে।
উত্তর থেকে দক্ষিণ। একের পর এক তৃণমূল নেতাকে দেখা গেছে রামনবমীর মিছিলে। উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব রবিবার সকালে ভক্তি ভরে রাম পুজো করেন। তিনি বলেন, তাঁর বাড়িতে বহু বছর ধরে সন্ধিপুজো হয়। তাঁর পরিবার অত্যন্ত ধার্মিক। এদিকে বীরভূমের সাংসদ অভিনেত্রী শতাব্দী রায় সিউড়ি শহরে রামনবমীর বিশাল মিছিল নিয়ে বের হন। সেই মিছিলে তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বকেও দেখা যায়। হাওড়ার শালকিয়ায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে। ভাঙড়ে কালো জামা পরে রামনবমীর মিছিলে হাঁটেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। তবে সেখানে গেরুয়া নয়, সেখানে সবার হাতে ছিল হলুদ পতাকা। কলকাতায় রামনবমীর পুজো করেন মমতা মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য শশী পাঁজা। তিনি বলেন, আমরা কাউকে দেখানোর জন্য রামের পুজো করি না। রাম সবার। এটা ভক্তির ব্যাপার। রাম পুজো করতে দেখা যায় শ্রীরামপুরের তৃণমূল সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
তৃণমূলের এই রামনবমী পালনকেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “রামায়ণে রাবণ একবারই গেরুয়া পরেছিলেন, সীতাকে অপহরণের সময়। তৃণমূলের লক্ষ্য বিজেপির পাঁচ শতাংশ হিন্দু ভোট অপহরণ করা। তাই তারা গেরুয়া পরে সাধু সেজেছে। কাজ মিটলেই আবার রাবণের রূপ ধারণ করবে।