আমাদের ভারত, ২৩ মার্চ: মহুয়া মিত্র সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি, সিবিআই হানা নিয়ে রাজ্যের শাসক দল সরব। তাদের দাবি,প্রতিহিংসার রাজনীতি করতেই বিজেপি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করছে। কিন্তু এর পাল্টায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে গোটা রাজ্য চোরে ভরে গেছে। যেখানেই ঢিল মারবেন সেখানেই চোর পাবেন। চোরেদের বাড়িতে ইডি সিবিআই যাবেই।
শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দিল্লি উড়ে গেলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তার আগে মহুয়া মিত্রের বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মহুয়া মিত্র তার লগ ইন ও পাসওয়ার্ড টাকার বিনিময়ে এমন একজনকে দিয়েছিলেন যিনি বিদেশে বসে সংসদের ওয়েবসাইট লগইন করেছেন। স্বাভাবিকভাবে সিবিআই যাবেই। এমনকি তিনি গ্রেফতারও হতে পারেন। রাজের বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই, ইডি ও আইডি’র হানা হচ্ছে তা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সবাই আলাদা কাজ করে। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে গোটা রাজ্য চোরে ভরে গেছে।যেখানেই ঢিল মারবেন সেখানেই চোর পাবেন। চোরেদের বাড়িতে ইডি সিবিআই যাবেই।
অন্যদিকে বিজেপি, তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষে কয়েকদিন আগে উত্তপ্ত হয়েছিল দিনহাটা। সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে ২৪ ঘন্টা দিনহাটা বনধের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর স্পষ্ট কথা, উদয়নের জন্যই যত অশান্তি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, উদয়ন গুহ নামের গুন্ডা যতদিন দিনহাটায় থাকবে ততদিন দিনহাটা উত্তপ্ত থাকবে। গুন্ডাগুলোকে জেলে ঢোকালে তবেই এলাকা ঠান্ডা হবে।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, প্রার্থী তালিকা আগামীকাল সম্ভবত ঘোষণা হতে পারে। দার্জিলিং লোকসভার জন্য যাকে উপযুক্ত মনে করা হয়েছে তার নামই পাঠানো হয়েছে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমরা মেনে নেব।