আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১০ ডিসেম্বর : এবার পিছিয়ে পড়া এবং আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক। ওই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কলকাতার ফাইন্যান্সিয়াল ইনকুলেশন মাইক্রো মার্কেটিং বীরভূম জেলা নতুন করে
১৪টি গ্রাহক পরিষেবা চালু করল। ফলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার জন্য মানুষকে আর সারাদিন নষ্ট করে দূরের ব্যাঙ্কে যেতে হবে না।
গ্রামীণ এলাকার মানুষের হাতের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে আগেই উদ্যোগী হয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকায় গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দেয় সমস্ত ব্যাঙ্ককে। সেই নির্দেশ মেনে বহু প্রত্যন্ত গ্রামে ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা খোলা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বঞ্চিত ছিল রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত তুম্বুনি, নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের সোনারকুন্ডু, নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের বন্যেশ্বর, মুরারই ১ নম্বর ব্লকের চাতড়া, ডুরিয়া, বঠিয়া গ্রামগুলি। এরকম সিউড়ি ও রামপুরহাট মহকুমায় ১৪টি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গিয়েছে, দুদিনে রাজ্যে মোট ৩৫১টি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মুম্বাই থেকে ব্যাঙ্কের ডিএমডি ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রগুলি উদ্বোধন করেন। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই গ্রাহকসেবা কেন্দ্রগুলি পরিচালনা করে। সেই রকম বীরভূমের মল্লারপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নইসুভার তত্ত্বাবধানে ব্যাঙ্কগুলি চালু করা হল।
সংস্থার সভাপতি সোমা পাঠক, সম্পাদক সাধন সিনহা বলেন, “এমন বহু গ্রাম রয়েছে যেখানকার মানুষকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পেতে সারাটা দিন নষ্ট করতে হয়। তাছাড়া আদিবাসীরা সাধারণত ব্যাঙ্ক মুখী হন না। সেইসব কথা ভেবে আমরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আবেদনের ভিত্তিতে ওই সমস্ত গ্রামে গ্রাহক পরিষেবা খোলার আবেদন জানাই। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ১৪টি নতুন গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হল। মানুষ সেখান থেকে টাকা লেনদেন করতে পারবেন”।