আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২১ মার্চ: নতুন পুরপ্রধানকে বেছে নিতে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১১টায় বৈঠকে বসেছিলেন পানিহাটির সকল কাউন্সিলর। তবে উপস্থিত ছিলেন না সদ্য প্রাক্তন পুরপ্রধান মলয় রায়। তিনি জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পুরসভায় যেতে পারেননি। বৈঠকে উপস্থিত কাউন্সিলরেরা নয়া পুরপ্রধান হিসাবে সোমনাথের নামে সম্মতি জানান।
পানিহাটির নতুন পুরপ্রধান হলেন তৃণমূলের সোমনাথ দে। তিনি পানিহাটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। নতুন দায়িত্ব পেয়েই পানিহাটির অমরাবতী মাঠ নিয়ে মুখ খোলেন সোমনাথ দে। তিনি বলেন, “অমরাবতী মাঠ পানিহাটির ফুসফুস। তাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। পুরসভার ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চাঁদা তোলার অভিযোগও ওঠে মলয়ের নেতৃত্বাধীন পুর-প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছিল, এই অমরাবতী মাঠ সংক্রান্ত বিতর্কে জড়িয়েই পুরপ্রধানের পদ থেকে সরে যেতে হয় মলয়কে। ওই সূত্র মারফত জানা যায়, অমরাবতী মাঠ অবৈধ ভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মলয়ের বিরুদ্ধে। এই মর্মে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। দলীয় নির্দেশে গত ১৩ মার্চ ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান মলয় রায়। গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মলয় রায়কে পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিন নির্মল ঘোষের তত্ত্বাবধানেই পানিহাটির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন হল। পানিহাটি পুরসভার ৩৫ জন কাউন্সিলর। এদিন ৩২ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে ২ জন কংগ্রেস ও সিপিএমের। চেয়ারম্যান নির্বাচনে উপস্থিত ৩২ জন কাউন্সিলরই সোমনাথ দেকে সমর্থন করেন। তিলোত্তমার দেহ দাহের ক্ষেত্রে সোমনাথ দে’র তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিলোত্তমার বাবা মা। এখন তিলোত্তমার বাবা-মা বলছেন, সোমনাথ দেকে চেয়ারম্যান করে পুরস্কৃত করা হয়েছে।