কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতির জন্য দেশে এত সংক্রমণ: বিধায়ক অরুণাভ সেন

আমাদের ভারত, হাওড়া, ৬ জুন: সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও করোনা তার থাবা বসিয়েছে। যদিও ভারতে সংক্রমণের প্রথমেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন বিদেশ থেকে আসা বিমান চলাচল বন্ধ করতে। যদিও প্রধানমন্ত্রী সেই কথায় কর্ণপাত না করায় দেশে আজ সংক্রমণের এই পরিস্থিতি। শনিবার বাগনানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন, বিধায়ক অরুণাভ সেন।

এদিন বিধায়ক অভিযোগ করেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা অনুধাবন করতে পারেননি, তিনি সমস্যাটিকে অত্যন্ত হালকা ভাবে নিয়েছিলেন। তিনি সেইসময় ব্যাস্ত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের একটা নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিয়ে কি করে একটা রাজ্যে ক্ষমতায় আসা যায়। তখন তিনি মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক কেনা বেচার খেলায় ব্যাস্ত ছিলেন। আর সেই সময় দেশে যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে সেই সম্বন্ধে তিনি সজাগ ছিলেন না। তার উচিত ছিল সেই সময় মধ্যপ্রদেশে সরকার স্থাপন করার দিকে নজর না দিয়ে আগত সমস্যাগুলির সমাধান করা। বিদেশি এয়ারলাইনস বন্ধ করা যেমন প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল ঠিক সেইরকম প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে মিটিং করে লকডাউনের আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের তাদের রাজ্যে ফেরানোর ব্যাবস্থা করাও প্রয়োজন ছিল।বআর যদি তিনি সেটা করতেন তাহলে আজকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সব রাজ্যকে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হত না।

অরুণাভ সেন অভিযোগ করেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরার আগে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম ছিল। যদিও কেন্দ্রের ভুল পরিকল্পনার জন্য রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছে এবং আগামী কয়েকদিনে আরোও ৩/৪ লক্ষ শ্রমিক ফিরবে। আর প্রধানমন্ত্রী তড়িঘড়ি এইসব শ্রমিকদের ফেরাতে গিয়ে রাজ্যবাসীকে এক কঠিন পরিস্থিতির সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। এদিন বিধায়ক বলেন, করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তখন বিজেপির ১৮ জন সাংসদকে রাস্তায় দেখা যায়নি উল্টে তারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য পরিবেশন করে মানুষের মনে বিষ ঢেলেছেন। যদিও রাজ্যের মানুষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই আছেন এবং থাকবেন বলে দাবি করেন বিধায়ক অরুণাভ সেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *