Shuvendu পরিসংখ্যান নিয়ে রাজ্যের প্রতারণা এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের অভিযোগ শুভেন্দুর

আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৭ মার্চ: জিএসডিপি-র সুযোগকে অসৎ ভাবে কাজে লাগানোর অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মত ঋণের ওপর নির্ভরশীল কিছু রাজ্য পরিসংখ্যান ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বাড়িয়ে দেখিয়ে বাজার থেকে বেশি পরিমাণ ঋণ নিয়েই চলেছে।

বুধবার তিনি এক্স হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়ে লিখেছেন, “অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্যগুলির ঋণ নেওয়ার সীমা নির্ধারিত হয় রাজ্যের আভ্যন্তরীণ উৎপাদন অথবা গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিএসডিপি) এর মাধ্যমে। এই সুযোগকে অসৎ ভাবে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মত ঋণের ওপর নির্ভরশীল কিছু রাজ্য জিএসডিপি -র পরিসংখ্যান ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বাড়িয়ে দেখিয়ে বাজার থেকে বেশি পরিমাণ ঋণ নিয়েই চলেছে আর ঋণের পাঁকে আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছে।

কিন্তু পরিসংখ্যান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই কারসাজি ধরা পরে গেছে ভারত সরকারের পরিসংখ্যান ও পরিকল্পনা রূপায়ন মন্ত্রকের সম্প্রতি রাজ্যওয়ারী জিএসডিপি-র পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার পর। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেটে দাবী করা হয়েছিল, যখন কোভিডের কারণে সারা দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার কমে গিয়ে ঋণাত্মক হয়ে গেছে সেখানে নাকি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি ১.২০% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু গত ১৫ই মার্চ ২০২৪-এ ভারত সরকারের পরিসংখ্যান মন্ত্রকের প্রকাশিত রাজ্যওয়ারী জিএসডিপি-র পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে মহামারীর বছরে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি আসলে -৭.৫৮% হারে ভয়াবহ সঙ্কোচনের মুখোমুখি হয়েছিল। আদতে পরিসংখ্যান নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই কারসাজি নতুন কিছু নয়, অথবা শুধুমাত্র ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরেই এমন দাবী করা হয়েছে তা নয়।

কোরোনা মহামারীর আগের বছরে, অর্থাৎ ২০১৯-২০ সালের বাজেট নথিতে দাবি করা হয়েছিল যে রাজ্যের জিএসডিপি ১০.৪২% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, অথচ ভারত সরকার তথ্য প্রকাশ করেছে যে বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩.১০%। অর্থাৎ, রাজ্যের জিএসডিপি বাড়িয়ে দেখানো এবং সেই বর্ধিত জিএসডিপি -র ভিত্তিতে বাজার থেকে ঋণ নিয়ে চলার এই ভয়ঙ্কর প্রবণতা পশ্চিমবঙ্গকে ক্রমশ ঋণের পাঁকে ডুবিয়ে দিচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *