রাজেন রায়, কলকাতা, ১৭ জানুয়ারি: বেসুরো হলেই সবাই দল পাল্টাচ্ছেন না। কেউ দলের মধ্যে থেকেই ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন আবার। কারণ মানভঞ্জন করতে দেওয়া হচ্ছে দলের উচ্চপদ। শতাব্দী রায়কে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরে কাকে রাজ্য কমিটিতে এনে পুরস্কৃত করল তৃণমূল।
বিধানসভা ভোটের আগে শুরু হয়েছে দলবদলের খেলা। বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ফেসবুক পোস্টে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পরই তাঁর মানভঞ্জনে নামে তৃণমূল। শেষে কুনাল ঘোষ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর শতাব্দী জানিয়ে দেন, ক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে। তারপরই ভোটের আগে যাতে তিনি আর বিক্ষুব্ধ না হন, তার জন্য তাকে রাজ্য কমিটির পদ দিয়ে পুরস্কার দিল তৃণমূল।
বাকি সদস্যরা একই থাকলেও নতুন করে ৩ জনকে সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত করল তৃণমূল। তার প্রথম নামটি মোয়াজ্জেম হোসেন। তারপর শতাব্দী রায় ও শেষে শঙ্কর চক্রবর্তী। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ৩ জনকে সাংগঠনিক পদে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি আগামী দিনে কাজ করার জন্যও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও তৃণমূলের বেশ কয়েকটি জেলাস্তরের সাংগঠনিক পরিবর্তন হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির জেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন বিপ্লব মিত্র, জেলা সভাপতি হয়েছেন গৌতম দাস। জেলা কো-অর্ডিনেটর হয়েছেন সুভাষ চাকি, ললিতা তিগ্গা ও মুখপাত্র হয়েছেন জয়ন্ত দাস। মালদহ জেলা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। জেলা সভাপতি হয়েছেন মৌসম নুর। জেলার কো-অর্ডিনেটর হয়েছেন, অম্লান ভাদুড়ি, দুলাল সরকার, মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবিনা ইয়াসমিন এবং হেমন্ত শর্মা। এই জেলার মুখপাত্র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন শুভময় বসু।