Shatabdi, TMC, বক্তব্যের মাঝে কথা বলায় মেজাজ হারালেন শতাব্দী

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ১৬ ফেব্রুয়ারি: সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান মঞ্চে অতিউতসাহী সমর্থকের আবদারে মেজাজ হারালেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। অবশ্য পরে সমর্থকের আবদার জানতে পেরে কিছুটা সংযত হন তিনি।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারে বেরিয়ে বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের গোকুলপুর গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে শতাব্দীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। নির্বাচনে জিতলে ওই রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাংসদ। সেই মতো কুমারসান্ডা থেকে গোকুলপুর গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এরপরেই রবিবার গ্রামবাসীদের আহ্বানে গ্রামে যান শতাব্দী রায়। সেখানে গ্রামবাসীরা তাঁকে সম্বর্ধনা জানান। বক্তব্য রাখতে গিয়ে শতাব্দী বলেন, “মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিই না। যেটা পারব সেটাই মানুষের কাছে বলি।” বক্তব্য রাখার মাঝে এক অতি উৎসাহী সমর্থক মঞ্চের নিচে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছিলেন। মেজাজ হারিয়ে শতাব্দী তার কাছে চলে যান। জানতে চান তিনি কেন বক্তব্যের মাঝে চিৎকার করছেন। পরে জানতে পারেন তিনিও সাংসদকে সম্বর্ধনা দেবেন। এরপরেই শতাব্দী বলেন, “আগে বক্তব্য শেষ হোক। তারপর সম্বর্ধনা দেবেন।”

এদিন সম্বর্ধনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে শতাব্দী বলেন, “আপনারা লোহাপুর থেকে কুমারসান্ডা প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছিলেন। যেহেতু রেলের জায়গা, তাই সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। রেল দফতরে বার বার গিয়ে সেই রাস্তা মঞ্জুর করিয়েছি।”

এদিন নলহাটিতে সাংবাদিকদের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, কুম্ভ নিয়ে মানুষ পাগলামি করছে। কেন্দ্র সরকার মানুষকে কুম্ভস্নানে উৎসাহিত করছেন, কিন্তু তেমন কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। যেভাবে মানুষ ট্রেনে, বাসে, কিংবা গাড়িতে যাচ্ছেন তাতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটা অসম্ভব কিছুই না। আরও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।

এদিন ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত গ্রামের রাস্তার উদ্বোধন করেন শতাব্দী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য, ফাইভ ম্যান কমিটির সদস্য আবু জাহের রানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *