আমাদের ভারত, বাংলাদেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি: গত আগস্ট থেকে সকল সাম্প্রদায়িক হিংসাত্মক ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি তুললো ধর্মীয় বৈষম্য বিরোধী মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
সম্প্রতি সুইজারল্যন্ডের জেনেভা থেকে উত্থাপিত ও প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট ‘২৪-এ মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত জাতিসংঘ মানবাধিকার তথ্যানুসন্ধানী দলের প্রতিবেদন। ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ জাতিসংঘের প্রতিবেদনের অভিমতের আলোকে এই মন্তব্য করেছেন। তাঁর দাবি, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু, আহমদীয়া সম্প্রদায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিচালিত সহিংসতার স্বীকৃতি মিললেও তা যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এদিন জানানো হয়, গত বছরের আগস্টের শুরু থেকে পরবর্তী সময়ে হিন্দু- বৌদ্ধ- খ্রিস্টান ও আহমদীয়া মুসলিম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে নিশানা করে হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং মাজার, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা চলেছে। এই মন্তব্য করা হয়েছে জাতিসংঘের রিপোর্টেও। ঐক্য পরিষদের অভিযোগ, এ সব ঘটনার তথ্য উল্লেখিত থাকলেও রিপোর্টে সাম্প্রদায়িক হিংসা সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রকৃত চিত্রের অনুপস্থিতি রয়েছে।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের রিপোর্টে বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে বিচারহীনতা ও প্রতিশোধের চক্রের মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করা হয়েছে। আগস্টের শুরু থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও আহমদীয়া মুসলিম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। অভিযুক্তদের অনেকে প্রকাশ্যে দায় থেকে মুক্তি পাচ্ছে বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই উদ্বেগকে ‘যথার্থ’ বলে দাবি করেছে মণীন্দ্রবাবু।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার অভিযুক্তদের দায়মুক্তির আদেশ ঘোষণা করে। ঐক্য পরিষদ জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী দলের প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিমতের আলোকে অনতিবিলম্বে ওই ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে, উল্লেখিত সময়ে ঘটা সাম্প্রদায়িক হিংসা সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাবলীর বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি তুলেছে। এর মাধ্যমে অপরাধের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্যে সরকার প্রধানের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ।