Shatabdi, campaign, Nalhati, প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে শতাব্দী

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৩১ মার্চ: রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। এলাকায় দাঁড়িয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

রবিবার বীরভূম লোকসভার অধীন নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের নওয়াপাড়া, শীতলগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার সারেন শতাব্দী রায়। দুপুর ১২টা নাগাদ নওয়াপাড়া পঞ্চায়েতের গোকুলপুর গ্রামে শতাব্দী গাড়ি থেকে নামতেই গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। তাদের দাবি, গ্রামের এক কিলোমিটার রাস্তায় এখনও পর্যন্ত লালামাটিটুকুও পড়েনি। এক পশলা বৃষ্টি হলেই রাস্তা কাদায় ভরে যায়। জায়গায় জায়গায় জল জমে যায়। ফলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। পঞ্চায়েতকে বার বার জানানো হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে ভোট নিতে গেলে আগে রাস্তা চলাচলের যোগ্য করতে হবে।

গ্রামের বাসিন্দা গোলাম আম্বিয়া, রওশন আলিরা বলেন, “স্বাধীনতার পর রাস্তায় এক গাড়ি লালমাটিও পড়েনি। আমরা পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি, কিন্তু কাজ হয়নি। ফলে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, এক হাঁটু কাদা মেখে যাতায়াত করতে হয়।

শতাব্দী রায় জানিয়েছেন ভোটের পর রাস্তা হবে”। অবশ্য শতাব্দী রায় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে গ্রামবাসীদের দাবি মেনে নিয়ে বলেন, “কেন হয়নি। পঞ্চায়েত কেন করেনি সে সব না বিচার করে আগে ওই রাস্তায় কয়েক গাড়ি পাথর কুচি ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে জেলা শাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ভোটের পর ওই রাস্তা পাকা করা হবে”।

পঞ্চায়েত প্রধান রিপন শেখ বলেন, “পঞ্চায়েতের অর্থ সামান্য। তবে জেলা পরিষদের তালিকায় ওই রাস্তা রয়েছে। কিন্তু ভোটের কারণে কাজ বন্ধ হয়ে আছে। ভোট শেষ হলেই রাস্তার কাজ শুরু হবে। সোমবার ওই রাস্তায় এক ডাম্পার পাথর কুচি ফেলে দিয়ে আপাতত যাতায়াতের উপযুক্ত করে দেওয়া হবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *