সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৭ ডিসেম্বর: ফের ছাত্রঙ্গনে রাজনীতির রেশ। সোমবার এসএফআই ও টিএমসিপির সংঘর্ষে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল হাওড়ার আন্দুল কলেজে। মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত গর্ভমেন্ট কলেজ এবং বারাসত কলেজে। পরিস্থিতির জন্য টিএমসিপি ও এসএফআই নেতৃত্ব পরস্পর পরস্পরকে দুষছে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে মুখ ফাটলো দুই পুলিশ কর্মীর। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় নামানো হয়েছে র্যাফ।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার সোদপুর থেকে মধ্যমগ্রাম পর্যন্ত মিছিল করেছিল এসএফআই। এদিন ছিল মিছিলের দ্বিতীয় দিন। মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসত জেলাশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। অভিযোগ, বারাসত কলেজ এবং বারাসত গর্ভমেন্ট কলেজে ওই মিছিল ঢুকতে গেলে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে টিএমসিপি। বহিরাগতদের কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার স্লোগান তোলে টিএমসিপি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জমায়েত ও পাল্টা জমায়েত ঘিরে রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। পরস্পর পরস্পরের দিকে ইট ছোড়ার অভিযোগ আনে। মুহূর্তে সেই জায়গা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ওই কলেজের অদূরেই শিয়ালদহ-বনগাঁ রেলপথ। কলেজের সামনে দিয়েই গিয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। বিক্ষোভ আরও এগিয়ে যায় ১১ নম্বর রেলগেটের সামনে। সেই বিবাদ অদূরে বারাসত গভর্মেন্ট কলেজের সামনেও শুরু হয়ে যায়। টিএমসিপি ও এসএফআইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে পড়ে। গোটা এলাকা যানজটে স্তব্ধ হয়ে যায়। বারাসত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে আরও বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে দুই পুলিশ কর্মীর মুখ ফেটে যায়। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুই পক্ষকেই পুলিশ দূরে সরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে তা করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।
উত্তেজনা সামলাতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় র্যাফ। সংঘর্ষে টিএমসিপি এবং এসএফআইয়ের কয়েকজন জখম হয়েছেন বলেও খবর। এসএফআইয়ের বক্তব্য, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে শাসক দলের বক্তব্য, কলেজের মধ্যে বহিরাগতদের এনে হামলা চালিয়েছে এসএফআই। তাই বাধ্য হয়েই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছে।