সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৩০ এপ্রিল: এতদিন যেটা হয়নি এবার হলো সেটা। ফ্রন্টের কোনও শরিক ছাড়াই মনোনয়ন পত্র পেশ করলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। শোভাযাত্রার সামনের সারিতে প্রার্থীকে নিয়ে সর্ব ভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় হাঁটলেন। কার্যত সিপিএমের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েই একলা চলো নীতি নিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক।
পুরুলিয়ায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়েই আপত্তি তোলে ফরওয়ার্ড ব্লক। শেষ পর্যন্ত ‘বড় স্বার্থের’ জন্য ফরওয়ার্ড ব্লকের মতো শরিকের যুক্তি অগ্রাহ্য করে বামেদের বাকি শরিকদের নিয়ে কংগ্রেসের হাত ধরে সিপিএম। এই নিয়ে পুরুলিয়ায় প্রচার সভাগুলোতে বাক যুদ্ধও শুরু হয়েছে সিপিএম ও ফরওয়ার্ড ব্লকের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে খানিকটা ঢাক ঢোল পিটিয়েই আজ মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আসেন পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো।
এদিন পুরুলিয়া শহরের রাঁচি রোড থেকে দলীয় নেতা- কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শহরের একাংশে মিছিল করে জেলাশাসক দফতরে পৌঁছান। সেখানে তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “জেতার বিষয়ে আমরা আশাবাদী রয়েছি। আমরা বাম প্রার্থী সিংহ ছাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। ভোটারদের আবেদন করছি যেন আমাদের সঙ্গে থাকেন। আমরা বিগত ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১৪ লাগাতার এই আসনে জয়ী হয়ে আসছি।”
পরে এদিনই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো। মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাড়ির কাছে চিড়কা বানেশ্বরধাম শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে পুরুলিয়া শহরের রাঁচি রোডে সদলবলে পৌঁছান শান্তিরাম মাহাতো। গ্রীষ্মের খরতাপেও পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাইক র্যালি এবং মিছিল করে রাঁচি রোডে জমায়েত হন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। সেখান থেকে দলীয় নেতা- কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে শহরের একাংশে মিছিল করে জেলাশাসক দফতর চত্বরে পৌঁছান প্রার্থী। হাজার হাজার তৃণমূল নেতা- কর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে এই পদযাত্রায়। পরে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, “জেতার বিষয়ে আশাবাদী রয়েছি। বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”