Sealdah, Kanchrapara, local, শিয়ালদহ-কাঁচড়াপাড়া লোকাল চালু হোক: কল্যাণ গৌতম

আমাদের ভারত, ২৬ মার্চ: একটি চালু কথা, যেহেতু কল্যাণী সীমান্ত লোকাল চালু আছে, তাই চারটি স্টেশন আগে কাঁচড়াপাড়াকে কোনোমতেই টার্মিনাল স্টেশন করা উচিত হবে না। এই নিবন্ধে আলোচনা করবো, কেন কাঁচড়াপাড়া লোকাল চালু হওয়া উচিত? আর এটা সময়ের দাবিও বটে। কীভাবে এক বিপুল সংখ্যক ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারী, অভিভাবক, কৃষক, পশুপালক যাত্রীদের নিয়ে রোজ কাঁচড়াপাড়া স্টেশন হিমশিম খাচ্ছে, তা সমীক্ষা করেছি কি? তার উপর চালু হয়েছে AIIMS; রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনও যুক্ত হয়েছেন যাত্রী হিসাবে। পূর্ব রেলকে এবার ভাবতেই হবে, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি। অফিস টাইমে শিয়ালদহগামী ট্রেনের মতোই অস্বাভাবিক ভিড়ে এখানে চিঁড়ে চ্যাপ্টা যাত্রী-সাধারণ।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দিলেও কাঁচড়াপাড়া স্টেশনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। মোহনপুরে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (BCKV), পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয় (WBUAFS) এবং মৌলনা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (MAKAUT)। এমনকি IISER, Kolkata- র মূল ক্যাম্পাসে যাবার একটি পথও কাঁচড়াপাড়া। কাছাকাছি রয়েছে বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। এই স্টেশন দিয়েই যাতায়াত করেন কাঁচড়াপাড়া কলেজ ও হরিণঘাটা কলেজের ছাত্ররা। হরিণঘাটা দুগ্ধাগার ক্যাম্পাস এই স্টেশনের কাছে। এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন গয়েশপুর উপনিবেশের মানুষও। সব মিলিয়ে একটি বিপুল সংখ্যক মানুষ কাঁচড়াপাড়া স্টেশনের উপর নির্ভরশীল। অফিস টাইমে এই স্টেশনে ওঠানাম করা সকলের পক্ষেই চরম সমস্যার ব্যাপার। আগামী দিনে সমস্যা বাড়বে, যখন পুরোদমে AIIMS চালু হবে। কাজেই এত বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়াতের পথটি স্বাভাবিক রাখতে গেলে অফিস টাইমে সকাল আটটা থেকে বারোটার মধ্যে চার জোড়া এবং বিকেল চারটে থেকে আটটার মধ্যে আরও চার জোড়া ট্রেন চালানো হোক কাঁচড়াপাড়া থেকে। অসুবিধা হবার কথা নয়। কারণ সম্প্রতি কাঁচড়া পাড়ায় একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম হয়েছে (৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম যেখানে কাঁচড়াপাড়া লোকাল শিয়ালদহ থেকে এসে দাঁড়াতে পারবে এবং কিছুটা সময় অপেক্ষা করে ফিরেও যেতে পারবে)।

একইভাবে নৈহাটি থেকে আপ লাইনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এবং সুস্থভাবে যাতায়াত করার জন্য দুইবেলা চার জোড়া করে অতিরিক্ত ট্রেন নৈহাটি স্টেশন থেকে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর জংশন পর্যন্ত চালানো দরকার। কারণ অফিস টাইমে মানুষের কাছে একটি আতঙ্কের যাত্রা হয়ে যাচ্ছে কাঁচড়াপাড়া এবং নিকটবর্তী স্টেশনগুলি থেকে ওঠানামা। মানুষ রেহাই চাইছেন। এখন যারা যাতায়াত করেন, অতীতে যারা করেছেন, তারা সেই অভিজ্ঞতাগুলি জানিয়ে রেলের বিভিন্ন স্তরে দাবি জানান। রেলের সহৃদয় এবং দায়িত্ববান আধিকারিকরা বিষয়টি খতিয়ে দেখুন এবং রেল জীবনচর্যাকে বাস্তবানুগ করে তুলুন।

মনে রাখুন শিয়ালদহ থেকে আপ- ডাউন কাঁচড়াপাড়া লোকাল এবং নৈহাটি থেকে আপ- ডাউন কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর লোকাল।

— কল্যাণ গৌতমের দাবির সঙ্গে সুর মেলান। শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন।

10 thoughts on “Sealdah, Kanchrapara, local, শিয়ালদহ-কাঁচড়াপাড়া লোকাল চালু হোক: কল্যাণ গৌতম

  1. গৌরাঙ্গ দাস says:

    সময়োপযোগী সঠিক দাবী।রেল কর্তপক্ষ এই দাবী মেনে নিলে বহু মানুষ উপকৃত হবে।কল্যানবাুকে ধন্যবাদ,এমন বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্য।

  2. Tapash Banerjee says:

    We’re with you. This is a justified and legislative demand. Last ten years situation is very critical. Thanks for your proposal.

  3. Chhalauddin Mandal says:

    একদম সঠিক সিদ্ধান্ত। গৌতম বাবুকে অশেষ ধন্যবাদ। একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কে তুলে ধরার জন্য।

  4. Chhalauddin Mandal says:

    গৌতম বাবুকে ধন্যবাদ জানাবো। কারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কে সবার সামনে তুলে ধরেছেন।

  5. Pritrankur Samaddar says:

    কাঁচরাপাড়া লোকাল চালু হলে অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবেন। তাই এই দাবিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করি ।

  6. MAINAK BISWAS says:

    দাবি যুক্তিপূর্ণ, সেইসঙ্গে নৈহাটি থেকে কৃষ্ণনগর ও শান্তিপুরের মধ্যে শাট্ল ট্রেনের দাবি, বিশেষ করে অফিস টাইমে – ভীষণ সময়োপযোগী দাবি ও যথার্থ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *