আমাদের ভারত, ৯ সেপ্টেম্বর: সোমবার এক মাস হয়ে গেছে আরজিকর কান্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান একমাস তো হয়ে গেল আমি অনুরোধ করব পুজোয় ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে রাজ্যজুড়ে। ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পাল্টা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে কী মনে করেন? গোটা রাজ্যের মানুষ কি ওর দলের চাকর বাকর নাকি? উনি ঠিক করে দেবেন মানুষ কখন আন্দোলন শেষ করবে? এখানে না থেমে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, গোটা বাংলা ভারাক্রান্ত। জীবনে কখনো যে মা মিছিলে হাঁটেননি আজ তিনিও পথে। নির্যাতিতাকে সকলে কন্যা, মা, সহদরা বলে মনে করে আন্দোলনে নেমেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সমব্যথী হয়ে রাজ্যের মানুষকে সমবেদনা জানানো। তা না করে আন্দোলনকে ভয় পেয়ে তিনি মানুষকে পুজোর আনন্দে মাততে বলছেন এটা নিন্দনীয়। ওর মন্তব্যের পাল্টা আন্দোলন হবে বলে জানিয়েছেন সুকান্ত।
বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “এই কথায় স্বৈরাচারী ভাবনা রয়েছে। উৎসব হয় মনের আনন্দে। মনে আনন্দ থাকলে তবেই তো উৎসব। উনি তো মনের আনন্দটাই কেড়ে নিয়েছেন মানুষের কাছ থেকে। তাই মানুষই মানুষের পথ ঠিক করবে।”
সিপিএম নেত্রী দীপ্সিতা ধর বলেছেন, আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই ভয় থেকে উৎসবের মুড আনতে চাইছেন। ভাবছেন উৎসবের আলোয় অন্ধকার ঢেকে দেবেন। সেটা হবে না। যিনি পুজোয় থাকবেন তিনি মিছিলেও হাঁটবেন।
রাত দখলের ডাক দেওয়া রিমঝিম সিনহা বলেছেন, “জনসাধারণ এখন মহোৎসবেই রয়েছেন। কারণ আন্দোলনকে তারা মহোৎসব বলে মনে করছেন। তারাই তো ঠিক করবেন কোনটা উৎসব। এই আন্দোলন তো এই একটা ঘটনার জন্য নয়। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সেই দাবিতেই মানুষ পথে নেমেছেন। আন্দোলন থেকে যেসব দাবি উঠেছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ করেনি। তাই মানুষই ঠিক করবেন কোন উৎসবকে বেছে নেবেন তারা।