রবিবারের ‘জনতা কারফিউ’ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত পুরুলিয়াবাসী

সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২০ মার্চ: রবিবার ‘জনতা কারফিউ’ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত পুরুলিয়াবাসী। এর দুদিন আগে মিশ্র প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে জেলা জুড়ে। দ্বিধাগ্রস্তদের মধ্যেই দুই তিন দিনের রসদ জোগাড় করতে দেখা গিয়েছে শুক্রবার। জেলার সব চেয়ে বড় সবজির বাজার পুরুলিয়া শহরের ‘বড় হাট’এ দেখা গিয়েছে সবজি বিক্রেতাদের অনেকেই বাজার দরের চেয়ে কম দামে সবজি বিক্রি করেন এদিন। ক্রেতাদের খুব একটা দেখা মিলেনি। তবে, যাঁরা ছিলেন তাঁদের অনেকেই কয়েক দিনের সবজি বাড়িতে মজুত করার জন্য ক্রয় করেন। তবে, রবিবারের জন্য কোনও কালো বাজারির অভিযোগ ওঠেনি হাটে বাজারে। ব্রয়লার মুরগির চাহিদা না থাকায় মাছের দাম ছিল স্বাভাবিকের থেকে বেশি। বাজারে অবশ্য মাছের যোগান ছিল স্বাভাবিক।
  

গত তিন দিন ধরে বাজার মার খাচ্ছে বলে দাবি ফল বিক্রেতাদের। তাঁদের দাবি ক্রেতার দেখা মেলা ভার। পুরুলিয়া শহরের বিভিন্ন ফলের দোকানদাররা একই প্রতিক্রিয়া জানান। বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া কয়েক জন ফল বিক্রেতা জানান, গত কয়েকদিন ধরে হাজার হাজার টাকা লোকসান চলছে। আড়তদাররা ধারে মাল দিতে চাইছেন না আর। এদিকে রবিবার বাজার বন্ধ থাকার কথা চাউর হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
 
    
করোনা আতঙ্কে প্রভাব পড়েছে জেলার প্রায় সব ক্ষেত্রেই। রাস্তায় অবশ্য স্বাভাবিক লোকজন যাতায়াত করলেও বেচা কেনা তেমন হচ্ছে না।
 

এদিকে, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে বিশেষ অভিযান চালালো পুরুলিয়া পৌরসভা। বিভিন্ন বোর্ডের মূলত বস্তি এলাকাতে এই সচেতনতা মূলক প্রচার অভিযান চালানো হয়। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে কি করণীয় তা বিস্তারিতভাবে বস্তিবাসীদের অবগত করেন অভিযানে থাকা ওই সংস্থার সদস্য ও উপ পৌরপ্রধান বৈদ্যনাথ মন্ডল। মহিলাদের হাতে সাবান, হ্যান্ডওয়াশ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিট তুলে দেওয়া হয়। পুরুলিয়া সদর থানার উদ্যোগেও পথচারীদের সচেতন করার উদ্যোগ নেওয়া হয় এদিন।


   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *