আমাদের ভারত, ২১ নভেম্বর: বুধবার রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয়েছে কলকাতা পুলিশে একাধিক রদবদল হচ্ছে। হাওড়া পুলিশেও এই বদলির ইস্যু বাদ পড়েনি। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তাঁর স্পষ্ট কথা, পুলিশ যে ব্যর্থ, তা প্রমাণ হয়ে গেছে।
আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বেশি করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি একজোট হয়ে দাবি করেছে যে, পুলিশ সরকারকে বাঁচাতে নানা কাজ করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের দাবি, আর জি করের ঘটনার তদন্তে নেমে সরকারের পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য দেখানোর সীমা লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত পুলিশ একাধিক সমালোচনার মুখে পড়ে। কারণ তারা দলের নেতা এবং কাউন্সিলরদের সুরক্ষা দিতে পারেনি। তাই অজানা কিছু শক্তির চাপেই রদবদল হলো।
বেলডাঙ্গা, শ্যামপুর, রাজাবাজারের অশান্তির ঘটনা নিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে আক্রমণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে সীমা ছাড়িয়ে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এইসব জায়গার অশান্তির ঘটনা তাঁর চোখে পড়ে না। শাসক দলের হয়ে কু- কাজ করা নেতাদের সুরক্ষা না দিতে পারায় পুলিশের বদলি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হলে সরকার চুপ। সুকান্ত মজুমদারের প্রশ্ন, এটাই কি গণতন্ত্রের ছবি?
কয়েকদিন আগে রাজাবাজার এলাকায় ব্যাপক অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় আহত হয়েছিল একাধিক ব্যক্তি। সম্প্রতি আবার মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাতেও দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের উভয়ের কাছেই।বেলডাঙার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে অন্তত আটজনকে ইতিমধ্যেই আদালতে পেশ করা হয়েছে। ধৃতদের ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, সেগুলোর ভিত্তিতে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে।