Toilet, Chandrakona Hospital, চন্দ্রকোনা গ্রামীন হাসপাতালে নব নির্মিত শৌচাগার চালুর দাবি রোগীর পরিজন ও এলাকাবাসীদের

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: হাসপাতাল চত্বরে নেই কোনো শৌচাগার, ফলে সমস্যায় পড়তে হয় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিজনদের। যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করতে হয় রোগীর পরিজনদের। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে পৌরসভার উদ্যোগে হাসপাতাল চত্বরে ঝা-চকচকে শৌচাগার নির্মাণ হলেও তা চালু না হয়ে দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত অবস্থায় বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। দ্রুত শৌচাগার চালুর দাবি জানান রোগীর পরিজন থেকে এলাকাবাসীরা। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের।

৬০ শয্যা বিশিষ্ট চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে রোগীর চাপ কোনো অংশে কম নয়। চন্দ্রকোনা পৌর এলাকা, চন্দ্রকোনার দুটি ব্লক ছাড়াও পাশ্ববর্তী গড়বেতা ও কেশপুরের বেশকিছু অঞ্চলের মানুষ নির্ভরশীল এই হাসপাতালের উপর।হাসপাতাল চত্বরে রোগীর পরিজনদের জন্য রয়েছে প্রতিক্ষালয়, কিন্তু শুরু থেকেই হাসপাতাল চত্বরে নেই কোনো শৌচাগার।হাসপাতালের ওয়ার্ডে শৌচাগার থাকলেও তা কেবলমাত্র রোগীদের জন্য।কিন্তু হাসপাতালে রোগী ভর্তির পর তাদের পরিবারের সদস্যরা রোগীর জন্য প্রতিক্ষালয়ে অপেক্ষা করে।আর তাদের জন্য কোনো শৌচাগারের ব্যবস্থা না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে তাদের ছুটতে হয় অন্যত্র অথবা হাসপাতাল চত্বরেই যত্রতত্র শৌচকর্ম করতে হয়।কয়েকবছর আগে চন্দ্রকোনা পৌরসভার উদ্যোগে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে হাসপাতাল চত্বরে রোগীর পরিজনদের প্রতিক্ষালয়ের পাশেই লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে আধুনিক শৌচাগার নির্মাণ করা হয়। পুরুষ ও মহিলাদের শৌচকর্মের জন্য আলাদা শৌচাগার, সঙ্গে স্নানেরও ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি মহিলাদের জন্য শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।

নবনির্মিত এই শৌচাগারের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও তা চালু না হয়ে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে কয়েকবছর ধরে।রোগীর পরিজন ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে হাসপাতাল চত্বরে নবনির্মিত শৌচাগার চালু না হওয়ায় অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রোগীর পরিজন থেকে এলাকাবাসীর দাবি, এতদিন হাসপাতাল চত্বরে কোনো শৌচাগার ছিল না। পৌরসভার উদ্যোগে তা তৈরি হলেও চালু হয়নি।হাসপাতালে রোগী ভর্তি করাতে এসে শৌচকর্মের জন্য সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। পড়ে না থেকে দ্রুত শৌচাগার চালু করা হোক, দাবি তাদের। শৌচাগার চালু হলে রোগীর পরিজনদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মানছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এবিষয়ে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, পৌরসভা উদ্যোগ নিয়ে শৌচাগার নির্মাণ করেছে, কিন্তু তা হাসপাতালকে হস্তান্তর হয়নি। হাসপাতালকে হস্তান্তর করলেও হাসপাতালের পর্যাপ্ত কর্মী নেই শৌচাগার রক্ষণাবেক্ষণ বা একজন কর্মীকে দিয়ে শৌচাগার দেখভাল করার।পৌরসভাকেই সেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে মত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।এবিষয়ে চন্দ্রকোনা পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, “রোগীর পরিজন ও সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে আধুনিক শৌচাগার বানানো হয়েছিল তার কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। শৌচাগার চালুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা আলোচনা করে দ্রুত তা চালুর ব্যবস্থা করবো।” নবনির্মিত শৌচাগার কবে চালু হয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *