আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৯ মে: ফের জলমগ্ন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। বন্ধ করা হলো সিটিস্ক্যান পরিষেবা। ফলে সমস্যায় পড়ছেন রোগীর আত্মীয়রা। তবে দু’দিন পর চালু করা হল ডিজিট্যাল এক্সরে বিভাগ। বার বার এক্সরে, সিটিস্ক্যানের মতো পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় তিতিবিরক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের পথ চলা শুরু হয়। ধীরে ধীরে হাসপাতালে বিভিন্ন পরিষেবা চালু করা হয়। কিন্তু হাসপাতাল নির্মাণে ছিল গোরায় গলদ। ফলে এক পশলা বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বর। ভোগান্তির শিকার হন রোগী থেকে তাঁদের আত্মীয়রা। এক হাঁটু নোংরা জল পেরিয়ে যেতে হয় এমার্জেন্সি বিভাগে। পুরনো বিল্ডিংয়ে রয়েছে ডিজিট্যাল এক্সরে এবং সিটিস্ক্যান বিভাগ। মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণে ত্রুটি থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বর। জল ঢুকে যায় এক্সরে এবং সিটিস্ক্যান বিভাগে। ফলে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বর্ষায় অধিকাংশ সময় ওই দুটি জরুরি বিভাগে জল ঢুকে বন্ধ হয়ে যায়। গত শনিবার থেকে দু’দিনের এক পশলা বৃষ্টিতে ফের ওই দুটি বিভাগ বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার বেলার দিকে এক্সরে বিভাগ চালু করা হলেও এখনও বন্ধ সিটিস্ক্যান। বার বার পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন হাসপাতালের এমএনভিপি পলাশ দাস।
তিনি বলেন, “মাঝে মধ্যেই পিপিপি মডেলে চলা ওই দুটি বিভাগ বন্ধ থাকে। এরজন্য আমরা সকলেই দায়ী। সেই সঙ্গে দায়ী প্রকৃতি। কারণ প্রকৃতি বৃষ্টি নামায়। সেই বৃষ্টির জল আমরা নিকাশি নালা করেও বের করতে পারছি না। আমাদের কিছুটা অব্যবস্থা আছে। সমস্যার সমাধানে বিভাগ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রোটেকশন দেওয়ার প্রস্তাব বিভিন্ন স্তরে পাঠিয়েছি। কিন্তু দুটোর কোনটাই এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে রোগীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমি পুনরায় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। তারা যে পরামর্শ দেবেন সেই অনুযায়ী চলব। এনিয়ে আমরা একাধিকবার বৈঠকে বসেছি। কিন্তু কোনো সমাধান সূত্র বের হয়নি। আমি চাই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক।”