আমাদের ভারত, ১৩ ফেব্রুয়ারি: প্রয়াগরাজে গিয়ে মহাকুম্ভে স্নান সেরেছিলেন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরস্বতী পুজোর দিন তিনি মহাকুম্ভে অমৃত স্নান করেন। এরপর বুধবার মাঘী পূর্ণিমার দিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র হুগলির ত্রিবেণীর কুম্ভ মেলায় এসেও পুন্যস্নান করেননি। কেবল মাথায় জল ছিটিয়ে চলে যান। আর তাতেই তাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
প্রয়াগরাজে গেরুয়া পোশাক পড়ে পুন্যস্নান করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সংসদ রচনা বন্দোপাধ্যায়কে। কিন্তু ত্রিবেণীতে তিনি আসেন সবুজ শাড়িতে। দুই কুম্ভে কেন দুই রকম বা দুই রংয়ের পোশাক পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ? তাঁর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, আমি কালার থেরাপি করি। বার দেখে রং বাছি। বুধবার বলে সবুজ পড়েছি।
এদিকে সুকান্ত মজুমদার একদিকে যেমন মহাকুম্ভে পুন্যস্নান সেরেছেন স্বপরিবারে, তেমনি ত্রিবেণীতে এসে দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে মাঘী পূর্ণিমার দিন পুণ্যস্নান করেছেন। প্রয়াগ থেকে আনা মহা কুম্ভের জল মিশিয়েছেন হুগলির ত্রিবেণী অর্থাৎ বাংলার কুম্ভে।
আর রচনা বন্দোপাধ্যায় বাংলার কুম্ভে স্নান না করায় কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশংসা করে ফেলেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলের কাছে বকা খেতে হয়েছে, কানমোলা খেতে হয়েছে, সেই রাগে ত্রিবেণীতে ডুব দেননি সাংসদ।
মহাকুম্ভে ভালো ব্যবস্থাপনার জন্য উত্তর প্রদেশ সরকারের ভুয়সী প্রশংসা করেছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে বিজেপির কটাক্ষে অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্যের শাসক দল। সুকান্তর কটাক্ষের উত্তর না দিলেও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওখানে দুর্ঘটনার দিন কী ব্যবস্থা ছিল আমি জানি না। আমি যেদিন যাই ভিআইপি আর সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো আলাদা ব্যবস্থা ছিল না। সবাইকে এক জায়গাতেই গাড়ি রেখে হেঁটে আসতে হয়েছে। যেটা আমার ভালো লেগেছে। ভালো ব্যবস্থাপনা ছিল। তারপরেই তিনি বলেন, আমি তো প্রয়াগে কুম্ভ স্নান করেইছি এখানে ভিড় থাকায় তাই আর করলাম না।