সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২৯ জানুয়ারি: এবার সব বাড়িতেই পানীয় জলের সংযোগ দেবে পুরুলিয়া পৌরসভার বর্তমান বোর্ড। বুধবার বর্তমান বোর্ড মিটিংয়ে সর্ব সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। উপ পৌরপ্রধান বৈদ্যনাথ মণ্ডল সহ অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানালেন পৌরপ্রধান শামিম দাদ খান। তিনি বলেন, ‘এটা ছাড়াও একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।কোনও চলমান(বর্তমান) কাউন্সিলারের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের হাতে পৌরসভার পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে। এছাড়া কোনও প্রাক্তন কাউন্সিলারের মৃত্যু হলে দেড় লক্ষ টাকা তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেবে পুরুলিয়া পৌরসভা। চলতি বছরের ১ তারিখ থেকেই এই সিদ্ধান্ত লাগু করা হল।’ সম্প্রতি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সম্পূর্ণ কর্মকারের অকাল প্রয়াণ হয়। মৃত্যু হয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সন্তোষ বাউরি। দুই জনই ক্ষতিপূরণের আওতায় পড়লেন। তাই দুটি পরিবারের হাতে পৌরসভার পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থরাশি তুলে দেওয়া হবে বলে পুর বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিন অবশ্য অভিজ্ঞ বর্ষীয়ান পৌরপ্রধান খানিকটা আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘সব কাউন্সিলার চোর নন, দুর্নীতিতে চুক্তি নন। কুৎসা রটানো হয়। আমরা তাই, মৃত্যুর পরেও সতীর্থদের পরিবারের পাশে থাকার জন্য এদিন অঙ্গীকার বদ্ধ হলাম।’
এদিন বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান উপস্থিত সব কাউন্সিলারই। এই সিদ্ধান্তের ফলে ৩১ হাজার হোল্ডিং ধারি এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবেন। যদিও পুর এলাকায় ৪০ হাজার হোল্ডিং রয়েছে। ইতি মধ্যে অবশ্য লটারির মাধ্যমে এবং বিভিন্ন খাতে প্রায় ৪ হাজার জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ২৩ টি ওয়ার্ডে এদিন থেকেই আরও ৫০টি করে সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মোট ৬ হাজারেরও বেশি সংযোগ দেওয়ার পরই পরিবর্তিকালে বাকিদের হবে।
বর্তমানে পৌরসভার জলের উত্স যা রয়েছে তাতে সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব বলে দাবি করা হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে। এই বিষয়ে অবশ্য পৌরপ্রধান বলেন, ‘পরিকল্পনা করে জলের উৎসের জন্য মুকুটমণিপুর ও পাঞ্চেত্ জলাধার থেকে নলের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। তাহলে সমস্যা আর থাকবে না বলে আশাবাদী আমি।’