পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৫ মার্চ: বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে প্রথম শ্রেণি থেকে পাশফেল চালু, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাকর্মী ও শ্রেণি ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ, বকেয়া কম্পোজিট গ্রান্ট প্রদান, অবসরপ্রাপ্তদের বাড়ি ভাড়া ভাতা চালু ও কেন্দ্রীয় হারে ডি এ প্রদানের দাবিতে ২১-২৭ মার্চ দাবি সপ্তাহ পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। দাবি সপ্তাহে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিআই ও এসআই- এর কাছে ডেপুটেশন সহ জেলাজুড়ে প্রচার চলছে। তারই অঙ্গ হিসেবে আজ মেচেদা থার্মাল মোড়ে একটি বিক্ষোভ সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সমিতির রাজ্য সম্পাদক আনন্দ হান্ডা। সভায় সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা স্মৃতি পড়িয়া।
আনন্দ হান্ডা বলেন, “কেন্দ্র সরকার ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে পাশফেল চালুর কথা বলেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার কোনও ঘোষণা করেনি। আমরা দাবি করছি, রাজ্যে প্রথম শ্রেণি থেকেই পাশফেল চালু করতে হবে। স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে কোনো অশিক্ষক কর্মচারী নেই। দীর্ঘদিন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। অবিলম্বে অশিক্ষক কর্মচারী ও শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। বকেয়া ৫০% কম্পোজিট গ্র্যান্ট অবিলম্বে প্রদান করতে হবে। কেন্দ্রীয় হারে ডি এ প্রদান করতে হবে। এই দাবিগুলো নিয়ে আমরা সমিতিগতভাবে চক্র থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত আন্দোলন গড়ে তুলছি। পাশাপাশি আমরা অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী মানুষদের নিয়ে শিক্ষা বাঁচাও কমিটি গড়ে তুলে আন্দোলন সংগঠিত করব।”
এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন সমিতির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সমীর বেরা, জেলা সম্পাদক সৌমিত্র পট্টনায়ক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।