সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১৩ মে: “নিয়োগ ছাড়া টেট, ভরবে নাতো খালি পেট”, “নিয়োগ যদি করবে না, বাজাও কেন টেট ঢেটরা” এইরকম বিভিন্ন শ্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুরিয়ে বিক্ষোভ দেখান ২০২২ সালের টেট উর্ত্তীর্ণরা। প্রচন্ড রোদ গরমকে উপেক্ষা করে আজ বাঁকুড়া শহরের আইজি মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তারা। পথ অবরোধের পাশাপাশি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ চত্বরেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন টেট উর্ত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, রাজ্যে রাজ্য সরকারে পালাবদলের পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য মোট চারবার টেট পরীক্ষা হয়েছে। ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেওয়া হলেও ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণরা তিন বছর পার হতে চললেও আজও নিয়োগপত্র হাতে পাননি। ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের দাবি, রাজ্য সরকারে পালাবদলের পর কেবলমাত্র ২০২২ সালের টেট পরীক্ষা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনোরকম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। এই টেট পরীক্ষা নিয়ে কোনও মামলাও হয়নি। তারপরেও অকারণে ২০২২ সালে স্বচ্ছ ভাবে উত্তীর্ণ টেট পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ আটকে রেখেছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তাতেই বেড়েছে ক্ষোভ। অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে এদিন বাঁকুড়ায় পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেন চাকরি প্রার্থীরা। অবিলম্বে নিয়োগপত্র দেওয়া না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা।
তাদের অভিযোগ, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য চার বার টেট পরীক্ষা হয়েছে। ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭ টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেওয়া হলেও গত ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। তিন বছর পার হতে চলেছে, আজও নিয়োগপত্র মেলেনি, মিলেছে শুধু প্রতিশ্রুতি। তাদের বক্তব্য, প্রতিশ্রুতিতে পেট ভরে না। এরজন্য দরকার নিয়োগ পত্র। তাদের বক্তব্য, ২০২২ সালের টেট পরীক্ষা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনোরকম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। এই টেট পরীক্ষা নিয়ে কোনও মামলাও হয়নি। তবুও অজানা কারণে নিয়োগ আটকে রাখা হয়েছে।
তাদের বক্তব্য, ২০২২ সালে স্বচ্ছ ভাবে হয়ে থাকলে উত্তীর্ণ টেট পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ আটকে রেখেছে কেন রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তাতেই বাড়েছে ক্ষোভ ও দুশ্চিন্তা। অবিলম্বে নিয়োগ পত্র দিতে হবে, এই দাবি নিয়ে তারা এদিন বাঁকুড়ায় পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেন।তাদের দাবি মানা না হলে বড় আন্দোলনে নামা হবে বলে জানান চাকরি প্রার্থীরা।