আমাদের ভারত, ১০ এপ্রিল: ভগবান মহাবীরকে শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
“অহিংসা ও শান্তির মূর্ত প্রতীক, ভগবান মহাবীর মানবতাকে ত্যাগ, সত্য এবং ত্যাগের পথ দেখিয়েছিলেন।” বৃহস্পতিবার এই ভাষায় ভগবান মহাবীর জয়ন্তীর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
তিনি এক্সবার্তায় লিখেছেন, “মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে সকল দেশবাসীকে, বিশেষ করে জৈন সম্প্রদায়ের সকল মানুষকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা। আসুন, আমরা সকলে তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করি এবং সমগ্র বিশ্বের কল্যাণের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করি।”
প্রসঙ্গত, সাড়ে বারো বছর গভীর ধ্যান ও কঠোর কৃচ্ছ্রসাধনার পর মহাবীর ‘সর্বজ্ঞতা’ অর্জন করেন। তারপর ৩০ বছর ধর্মপ্রচারের পর খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতেই তিনি মোক্ষলাভ করেন।
অন্যদিকে অমিতবাবু এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “ভগবান মহাবীরের দেওয়া সত্য, অহিংসা, করুণা এবং সামাজিক সম্প্রীতির বার্তা অনন্তকাল ধরে মানব সমাজকে পথ দেখাবে। আমি সকলের কল্যাণের জন্য ভগবান মহাবীরের কাছে প্রার্থনা করি।”
প্রসঙ্গত, মহাবীর ছিলেন জৈনধর্মের চব্বিশতম তীর্থঙ্কর (সর্বোচ্চ প্রচারক), তেইশতম তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের আধ্যাত্মিক উত্তরসূরি। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথমার্ধে প্রাচীন ভারতের এক ক্ষত্রিয় রাজপরিবারে মহাবীর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা-বাবাও ছিলেন পার্শ্বনাথের গৃহী ভক্ত। প্রায় ৩০ বছর বয়সে সকল বিষয় সম্পত্তি ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক জাগরণের উদ্দেশ্যে মহাবীর ঘর ছেড়ে কৃচ্ছব্রত গ্রহণ করেন।