আমাদের ভারত, ৯ জুলাই: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় আগেই একাধিক পদক্ষেপ করতে শুরু করে দিয়েছে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্র। শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক, নগর উন্নয়নমন্ত্রক সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর দফতরের আধিকারিকরা বৈঠক করেন। বৈঠকে জানানো হয় করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে ১৫০০টি মেডিকেল অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করা হচ্ছে। এরফলে অক্সিজেন সুবিধা যুক্ত ৪ লক্ষ শয্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলিকে দ্রুত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত কর্মীসংস্থান করারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশজুড়ে মোট আট হাজার জনকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্ল্যান্টগুলির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ইন্টারনেট অফ থিঙ্কসের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এই সংক্রান্ত পাইলট প্রজেক্ট এর অগ্রগতি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে রোগীদের পরিষেবা দিতে হিমশিম খেয়ে ছিল দেশের সব প্রান্তের সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল। যে সমস্ত করোনা রোগীদের শ্বাসকষ্ট হয় তাদের অক্সিজেন অপরিহার্য। কিন্তু একই সময়ে এই ধরণের রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মজুদ থাকা অক্সিজেন ফুরিয়ে গিয়েছিল। ফলে অনেক হাসপাতালেই অক্সিজেনের অভাবে বহু রোগীর মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে এসেছিল। তাই সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবার দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পিএম কেয়ার ফান্ডকে কাজে লাগিয়ে অক্সিজেন প্লান্ট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ২৩ হাজার কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্ডব্য জানান, সেই টাকায় দেশের ৭৩৬টি জেলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে শিশু চিকিৎসা বিভাগ গড়া হবে। ব্যবস্থা হবে ২০ হাজার আইসিইউ শয্যার। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুত রাখা হবে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই কারণেই আগাম এই পদক্ষেপ করছে সরকার।