“রাজ্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া পিপিই কিট ও মাস্ক অত্যন্ত নিম্নমানের” বড় বিপদের আশঙ্কা বিজেপি সাংসদের

আমাদের ভারত,শ্রীরূপা চক্রবর্তী,২৮ মার্চ: রাজ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে গেলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য যে পিপিই কিট (পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) ও মাস্ক রাজ্য সরকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠল। বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, চিকিৎসা কর্মীদের জন্য পিপিই কিট হিসেবে সাধারণ রেইনকোট পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। আর চিকিৎসকরা এন-৯৫ মাস্কের বদলে সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক পড়েই কাজ চালাচ্ছেন। এতে চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্য কর্মীদের যেমন ব্যপক জীবনের ঝুঁকি রয়েছে তেমনি সংক্রমণের সংখ্যাও এক লহমায় বেড়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ‌্যে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য যে পিপিই কিট ও মাস্ক সরকার পাঠিয়েছে তাতে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের দেওয়া গাউডলাইন মানা হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রামিতদের যারা চিকিৎসা করছেন সেই সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য পাঠানো পিপিই কিট সাধারণ রেইন কোট ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু স্বাস্থ্য কর্মীদের অবশ্যই এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু সেখানে রাজ্যের চিকিৎসকরা সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক পরে রোগী দেখছেন। বিজেপির এই সাংসদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই পিপিই কিট ও মাস্ক পড়ে যদি রাজ্যের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় ময়দানে নামেন তাহলে তাদের প্রানের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি তাদের থেকে এই মারণ ভাইরাস কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সাংসদ জানান, মারন ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে যে পিপিই কিট হাসপাতাল গুলিতে এসে পৌঁছেছে, সেই কিট গুলিতে তন্তুজ নামে একটি কোম্পানির উল্লেখ রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন তন্তুজ নামে কোনো কোম্পানি যে এই পিপিই কিট তৈরি করে তা কারোর জানা নেই।

সুকান্ত বাবু অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে করোনা মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকার ১৫০০০ কোটি টাকা সাহায্য পাঠিয়েছে। আগামী দিনে আরো সাহায্য পাঠানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কেন‌ এই অবহেলা? যে চিকিৎসক বা চিকিৎসা কর্মীরা এই মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় একেবারে ফ্রন্ট লাইনে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন তাদের প্রতি কেন এই অবহেলা রাজ্য সরকারের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *