লক ডাউনে গ্রামে গঞ্জে দেখা মিলছে না দুধ ওয়ালাদের, সমাধানে এগিয়ে এল রায়গঞ্জের সহৃদয় ব্যক্তি ছোটন চ্যাটার্জি

আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৮ মার্চ: লক ডাউনের প্রভাবে গ্রামে গঞ্জে দেখা মিলছে না দুধ ওয়ালা বা গোয়ালদের। সমস্যায় পড়েছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ বৃদ্ধা সকলেই। একেবারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানুষের এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এল রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজা গ্রামের সহৃদয় ব্যক্তি ছোটন চ্যাটার্জি। বিভিন্ন খাটাল থেকে দুধ সংগ্রহ করে টোটোয় চেপে সম্পূর্ণ নিখরচায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছেন দুধ। তাঁর এই মহতী উদ্যোগে এই লক ডাউনের সময় উপকৃত হচ্ছেন শয়ে শয়ে সাধারণ মানুষ। একদিকে যেমন তাদের বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে না, পাশাপাশি ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন শিশু কিংবা বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের উপযোগী খাবার দুধ। ছোটন বাবুর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলছে লক ডাউন। এই লক ডাউন চলাকালীন ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না বহু মানুষ। সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসের মধ্যে অত্যন্ত জরুরি গোরুর দুধ। শিশু থেকে বৃদ্ধ, বৃদ্ধা কিংবা অসুস্থ রোগীদের উপযোগী খাদ্য হল দুধ। সাধারণত গোয়ালা বা দুধ বিক্রেতারা দুধ বাড়িতে বাড়িতে সরবরাহ করে থাকেন, কিন্তু লক ডাউনের জেরে দুধ বিক্রেতারাও বের হচ্ছেন না। ফলে সমস্যায় পড়েছেন রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজা এলাকার বহু পরিবার। শিশু থেকে বৃদ্ধ বৃদ্ধা কিংবা অসুস্থ রোগীদের মুখে উপযোগী পথ্য তুলে দিতে এগিয়ে এল মহারাজা গ্রামের বাসিন্দা ছোটন চ্যাটার্জি। একটু দূরের খাটাল থেকে দুধ সংগ্রহ করে তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি এবং তা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। ছোটন বাবুর এই মহতি উদ্যোগে এলাকার বহু পরিবার, পাশাপাশি লক ডাউনের সময় তাদের ঘর থেকেও বের হতে হচ্ছে না।

ছোটন বাবু বলেন, শিশুদের যাতে এই লক ডাউনের সময়ে দুধের কোনও সমস্যা না হয় এবং এই সময় মানুষকে যাতে ঘর থেকে বের না হতে হয় সেই উদ্দেশ্যে তিনি বাড়ি বাড়ি দুধ সরবরাহ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *