চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ২৪ মার্চ: করোনা চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝটিকা সফর ঘিরে তুঙ্গে উঠল রাজনীতি। হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় একবারের জন্যও সেখানকার কর্তাদের থেকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট কিটের ব্যাপারে খোঁজ নিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। উলটে, হাসপাতাল কর্তাদের হাতে তুলে দিলেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক। পাশাপাশি, উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এদিন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার করোনা চিকিৎসার জন্য রাজ্যকে কিছুই দেয়নি।
এই পরিস্থিতিতে আর চুপ থাকতে পারলেন না রাজ্যের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঝটিকা সফরের মধ্যেই বাবুল টুইট করে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে করোনা মোকাবিলায় কিছুই দেয়নি, একথা ঠিক নয়। কারণ, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের হাতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্যে জিনিসপত্র তুলে দিয়েছে। নোভাল করোনা ভাইরাস চিহ্নিত করতে এই জিনিসপত্র বা কিটসের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। কারণ, এই কিটস না-থাকলে কারও শরীরে নোভাল করোনা ভাইরাস প্রবেশ করেছে কি না, চিহ্নিত করাই সম্ভব নয়।
কোন হাসপাতালকে কতগুলো নোভাল করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট দেওয়া হয়েছে, টুইটে তা-ও জানিয়েছেন বাবুল। তিনি জানান, এসএসকেএম হাসপাতালকে ১,০৯৮টি কিটস, বেলেঘাটার নাইসেডকে ১,০০০, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজকে ২০০ এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ২০০টি নোভাল করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিটস দেওয়া হয়েছে। বাবুল আরও জানিয়েজেন, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনেও ইতিমধ্যে নোভাল করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিটস পৌঁছে যেত। কিন্তু, লকডাউন চলছে। পরিবহণ ব্যবস্থা অচল। তাই সেখানে নোভাল করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিটস পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। আর, এই সব কারণে এই রাজ্যে নোভাল করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিটস নেই, একথা স্রেফ গুজব বলেই জানিয়েছেন বাবুল।