আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ১৯ মে: ঘূর্ণিঝড় আমফানের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদিতে যাচ্ছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বারুইপুর থানার উত্তর ভাগের কাছে সাংসদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় ক্যানিং বারুইপুর রোডের উত্তরভাগে। শেষ পর্যন্ত তালদি যেতে না পেরে ফিরে যান লকেট।
এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ, বারুইপুরে পূর্ব জেলা বিজেপির কার্যালয়ে আসেন হুগলীর বিজেপি সাংসদ। সেখানে দলীয় নেতৃত্বের সাথে প্রাথমিক বৈঠক করে তালদি এলাকায় আমফানে দুর্গতদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে রওনা দেন তিনি। কিন্তু, যাওয়ার পথে বারুইপুর থানার উত্তরভাগ পদ্মা স্টপেজে লকেটের গাড়ি আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের তরফে জানানো হয় লকডাউন অমান্য করে কোনও মতেই গাড়ি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। তাই গাড়িকে ছাড়া যাবে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়।
প্রথমে এ নিয়ে পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি সাংসদ। পড়ে তিনি দলীয় নেতৃত্বকে সাথে নিয়ে রাস্তার উপরেই ধর্নায় বসে পড়েন। সাংসদকে ধর্না থেকে ওঠাতে ক্যানিং ও বারুইপুর মহিলা থানার ওসিরা মাঠে নামেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে তারা সাংসদকে বোঝান। এদিকে লকেটের দাবি, “শাসকদলের নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রীরা যেখানে সেখানে যেতে পারছেন, আর বিজেপির কেউ গেলেই লকডাউন অমান্য হয়? কদিন আগে আমাদের রাজ্য সভাপতিকেও একইভাবে এই দুর্গত এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি”। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এলাকায়, বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের সাথে তাঁদের তর্কাতর্কি বেধে যায়।
এদিকে পাল্টা ক্যানিং এর দিক থেকে একঝাঁক বিজেপির কর্মীরাও ঐ এলাকায় জড়ো হন। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশের জেদের কাছে পরাস্ত হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন বিজেপি সাংসদ। কিন্তু যেতে যেতে বলে যান,
“আমাকে আটকাতে পারবেন না আমি আবারও আসবো”।