রাজেন রায়, কলকাতা, ২৯ মে: বৃহস্পতিবারের তুলনায় করোনার সংক্রমনের হার সামান্য কিছুটা কমল শুক্রবারের বুলেটিনে। তবে রাজ্যে একমাত্র গ্রিন জোন কোচবিহার ছাড়া আলিপুরদুয়ারেও ৪ জন সংক্রামিতের খোঁজ মেলায় তা চলে গেল অরেঞ্জ জোনে। তবে এই প্রথম ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হলেন ১০০ জনেরও বেশি।
ফের ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ২৭৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮১৩ জন। আরও ৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে মোট করোনায় মৃত্যু ২৩০ জনের। অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত থেকে অন্য উপসর্গে ৭২ জনের মৃত্যুর হিসেব ধরলে রাজ্যে মোট মৃত্যু ৩০২ জনের।
২৪ ঘন্টায় আরও ১০৭ জন সুস্থের হিসেব ধরলে মোট সুস্থ হলেন ১৭৭৫ জন। সুস্থ হওয়ার হার ৩৬.৮৭ শতাংশ। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ২৭৩৬ জন। তার মধ্যে এ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬৩ জনের।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, এদিন পর্যন্ত রাজ্যের ৪০টি ল্যাবে মোট করোনা টেস্টের সংখ্যা ১৮৫০৫১ জনের। তার মধ্যে ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৯২৮২ জনের। এর মধ্যে ১০টি ল্যাবে চলতি সপ্তাহেই অনুমোদন পেয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৬৯টি করোনা হাসপাতাল, ১৬টি সরকারি এবং ৫৩টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৮৭৮৫ টি বেড আছে, আইসিইউ পরিষেবা রয়েছে ৯২০ জনের। ভেন্টিলেটর রয়েছে ৩৯২টি। তার ১৮ শতাংশ রোগী ভর্তি আছেন। সরকারি ৫৮২টি কোয়ারেন্টাইনে এখন রয়েছেন ১৬৫০২ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৪৭৯৮৮ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১১৫৫৭৮ জন। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৮৪৫৫৬ জনকে।
এছাড়া এদিনের বুলেটিনে জেলাওয়াড়ি তথ্যে জানানো হয়েছে, কলকাতায় ৭১ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট সংক্রমণ ১৯৭৩ জনের। এদিন কলকাতায় আরও ২ জনের মৃত্যু হওয়ায় কলকাতাতেই মোট মৃত্যু ১৯৬ জনের। তারপরেই হাওড়ায় ২৯ জনের সংক্রমণ বেড়ে মোট সংক্রমণ ৯৪০ জনের। তারপরে উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৪ সংক্রমণ বেড়ে মোট সংক্রমণ ৬৪৫ জনের। এখানে এক জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ৪১ জন। হুগলীতে ২ জনের সংক্রমণ বেড়ে মোট সংক্রমণ ২৪৬ জনের। এখানে ২ জনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃত্যু ১১ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৩ জনের সংক্রমণ বাড়ায় সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ১৮০ জনে। এখানে এদিন এক জনের মৃত্যু হওয়ায় এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যুর ৬ জনের। এছাড়া আলিপুরদুয়ার ছাড়াও উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রমণ বেড়েছে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূম, মুশির্দাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়া এবং ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেও।