আমাদের ভারত, ২৭ ফেব্রুয়ারি: হিংসার আগুনে জ্বলছে উত্তর-পূর্ব দিল্লি। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫। তার মধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন আম আদমি পার্টির এক নেতা তথা কাউন্সিলর তাহির হুসেনের নাম। অভিযোগ উঠেছে তার বাড়ির ছাদে সারি দিয়ে মজুত রয়েছে পেট্রোল বোমা। এমনকি দাঙ্গাবাজরা সেখানে ঘোরাঘুরি করছে তাও দেখা গেছে বলে অভিযোগ। দিল্লি পুলিশ ওই আপ কাউন্সিলের বাড়ি সিল করে দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আপ কাউন্সিলর তাহির হোসেনের বাড়ির ছাদে মজুত করে রাখা হয়েছে পেট্রোল বোমা। বাড়ির ছাদে লাঠি হাতে পায়চারি করছে কয়েকজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন তাহির নিজেও।
বিজেপি তরফেও এই ভিডিও শেয়ার করে হিংসায় মদত দেয়ার অভিযোগে এই আপ নেতাকে গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়েছে।
অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কাউন্সিলরের বাড়ির ছাদ থেকে লাগাতার পাথর পেট্রোল বোমা ছোড়া হচ্ছে। দাঙ্গাবাজদের নেতৃত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে তাহির হোসেনকে। আর এই ভিডিও ভাইরাল হতেই আপ নেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতাকর্মীরা।
‘आप’ के पार्षद ताहिर हुसैन के घर से पेट्रोल बम और पत्थरों का बड़ा जखीरा मिला। घर से गोलियां चलायी गयीं, अंकित शर्मा सहित तीन लोगों का मर्डर हुआ।
मगर केजरीवाल चुप हैं।
क्योंकि अगर केजरीवाल बोला तो ताहिर भी बोलेगा, फिर अमानतुल्लाह और शोएब भी बोलेंगे…
पूरा खेल ख़त्म हो जाएगा… pic.twitter.com/UB2c98821j
— Amit Malviya (@amitmalviya) February 27, 2020
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই নেতার বাড়ির কাছেই নর্দমা থেকে আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার দেহ উদ্ধার হয়েছিল বুধবার। এই তাহির হোসেনের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ এনেছিলেন ওই আইবি অফিসারের পরিবারও।
এই প্রসঙ্গে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, দাঙ্গায় যে মদত জুগিয়েছে তাকে কোনো ভাবেই রেয়াত করা হবে না। আর সেখানে যদি তার মন্ত্রিসভা বা তার দলের কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তার সাজা দ্বিগুণ করা হবে।
এদিকে পাল্টা একটি ভিডিও পোস্ট করে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাহির। তাঁর দাবি, তিনি এসবের সঙ্গে যুক্ত নন। দাঙ্গাবাজরা তার বাড়ি দখল করেছে এবং সেখান থেকে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। তিনি ঘরছাড়া হয়েছেন সোমবার থেকে। তার কথায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। নোংরা রাজনীতির খেলা চলছে। ঐ ভিডিওগুলি ভুয়ো। তার কথায়, উন্মত্ত জনতা আমার বাড়ি, অফিস ঘিরে ফেলে। খবর দিলে পুলিশ এসে পৌঁছয়। তারপর আমাকে এবং আমার পরিবারকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার বাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি পুলিশকে বলেছিলাম বাড়ি যেন ফাঁকা না রাখেন তারা। পুলিশ সরে গেলেই দাঙ্গাবাজরা বাড়ি দখল করে নিতে পারে। আমার আশঙ্কাই সত্যি হলো।”
তবে দিল্লি পুলিশ ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ সিল করেছে তাহির হুসেনের বাড়ি।