সিডিউল নেই, চলছে তপন দিঘি সংস্কার, পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষুব্ধ সাংসদ দিলেন কাজ বন্ধের হুশিয়ারি

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৭ ফেব্রুয়ারি: সিডিউল না টাঙিয়েই চলছে তপন দিঘির সংস্কারের কাজ। পরিদর্শনে গিয়ে বিডিওকে ভর্ৎসনা সাংসদের। কাজ বন্ধ করে দেবার হুশিয়ারি। অর্ধসমাপ্ত প্রাচীর তৈরিতে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে তা ভেঙ্গে ফেলার দাবি জানালেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এলাকা থেকে বিডিওকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর অফিসে গিয়ে জয়েন্ট বিডিওর কাছে দরবার করেন সাংসদ। বৃহস্পতিবার একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে জয়েন্ট বিডিওর কাছে কাজের শিডিউল দেখতে চান তিনি। সরকারি কাজের শিডিউল না টাঙ্গিয়ে কিভাবে কাজ করা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ। পরে বিডিও পৌঁছাতেই নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কাজের অভিযোগ তুলে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন সুকান্ত মজুমদার।

সম্প্রতি তপন দিঘি নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে সংস্কারে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। ৮৩ একর জায়গায় অবস্থিত দিঘি সংস্কারের জন্য রাজ্য মৎস্য দপ্তর ৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে।মেদিনীপুরের এক ঠিকাদার সংস্থা ওই কাজ শুরু করে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি ওই প্রকল্পের কাজে প্রথম থেকেই কোনও শিডিউল না টাঙ্গিয়ে অতি নিম্ন মানের ইট ও সাদা বালি, দুর্বল সিমেন্টের পাশাপাশি ভঙ্গুর লোহার রড ব্যবহার করে সীমান প্রাচীর করা হচ্ছিল। এমন অভিযোগের খবর আমাদের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। যার পরেই তড়িঘড়ি এলাকা পরিদর্শন করে ওই কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। এদিন বালুরঘাটের সাংসদ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেতে এলাকায় পৌঁছান। সিডিউল ছাড়া কিভাবে এতবড় কাজ চলছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাংসদ ঘটনাস্থল থেকেই বিডিওকে ফোন করেন। যার উত্তর খোদ বিডিও না দিতে পারায় জয়েন্ট বিডিওর কাছে গিয়ে একপ্রকার অবস্থানে বসেন সাংসদ। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা পর বিডিও পৌঁছালে তাঁকে লিখিত আকারে জানান সাংসদ। সিডিউল না টাঙালে কাজ বন্ধ করে দেবারও হুশিয়ারি বিডিওকে দেওয়া হয়েছে সাংসদের তরফে।

সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, তপন দিঘির সীমানা প্রাচীর তৈরি নিয়ে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ সামনে এসেছে। সিঠিক শিডিউল টাঙ্গিয়ে কাজ করতে হবে। অর্ধসমাপ্ত প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে তা নতুন করে করার দাবি জানানো হয়েছে বিডিওকে। সিডিউল না টাঙালো আন্দোলনের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দেবেন এমন হুশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *