আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ২৪ মার্চ: রবিবার জনতা কারফিউয়ের দিন মেদিনীপুর শহরে ৭০০ টাকা কিলো খাসির মাংস কিনতে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল। সোমবার বিকাল ৫টার থেকে লকডাউন ঘোষনার পরেও মেদিনীপুর শহরে দোকান বাজার খুলে রেখে জমাটি বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। শিক্ষক, অধ্যাপক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বাসস্থান এই মেদিনীপুরের শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চায় বেশ নাম ডাক রয়েছে। সেই শহরের শিক্ষিত মানুষজনদের লকডাউন ঘোষনার পরও রাস্তায় নেমে, দোকানপাট, রেস্তোরাঁয় ঝাঁপিয়ে পড়া অবাক করে দিয়েছে সাধারন মানুষকে।
চায়ের দোকানে আড্ডা থেকে রেষ্টুরেন্টে ভিড় একই রকম ছিল৷ শহরের মোড়গুলিতে সন্ধ্যা সাতটাতেও ছিল জমজমাট আড্ডা৷ পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করেও কোনো লাভ হয়নি। এরপরই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামে কোতয়ালী থানার পুলিশ ৷ শহরের বটতলা চক এলাকা থেকে শুরু করে গোলকুয়া, কেরানীতলা, পরে স্কুলবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে সকলকে। ওষধের দোকান, মুদি দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান, রেষ্টুরেন্টগুলি বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়৷ কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে মঙ্গলবার লকডাউন ভাঙলে ঠাঁই হবে শ্রীঘরে। পাশাপাশি ঘাটাল, বেলদা, খড়গপুর শহর এলাকায় লকডাউন ঘোষণার পর থেকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল রাত থেকেই চলছে করোনা সচেতনতা প্রচারl প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করলে আগামী দিনে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়।