Football fans, Salt lake, “ডার্বি কাড়বি কেড়ে নে, মেয়েটাকে ফিরিয়ে দে,” আর জি কর কান্ডে প্রতিবাদী ফুটবল সমর্থকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ

আমাদের ভারত, ১৮ আগস্ট: যুবভারতীর বাইরের রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হলো কলকাতায়। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে তিন প্রধান ফুটবল দলের সমর্থকরা সল্টলেক স্টেডিয়ামের সামনে জমায়াত হয়েছিল। যুবভারতী সংলগ্ন এলাকায় রবিবার বিকেল চারটে থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। ময়দানের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল- মোহনবাগান আজ প্রতিবাদের ঢেউতে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। আজ ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান নয় যুবভারতীতে প্রতিপক্ষ সমর্থকরা একজোট হয়ে বিচার চাই বলে দাবি তুলেছিল। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখর ফুটবলপ্রেমীদের পুলিশের তরফে ভি আই পি গেটের ২০০ মিটার দূরে সরে গিয়ে প্রতিবাদ করতে বলা হয়েছিল। তারা সেটা মেনে ভি আই পি গেট থেকে দূরে সরে যান। কিন্তু তারপরেও ফুটবল প্রেমীদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করতে শুরু করে।

প্রত্যাশা ছিলোই যে, রণক্ষেত্র হতে চলেছে যুবভারতীর সামনে। আর সেটাই হলো। পুলিশ প্রতিবাদী ফুটবল সমর্থকদের থামানোর জন্য লাঠিচার্জ শুরু করে। ফুটবল সমর্থকদের ওপরে বেহিসাবি লাঠি এসে পড়ে। বিক্ষোভে মুখর হয়ে ওঠে যুবভারতী সংলগ্ন এলাকা। রবিবার বিকেলে ইএম বাইপাস স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।

শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন সমর্থকরা, কিন্তু তা আর হলো না। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। সেখানে থেকে একে একে একাধিক ফুটবলপ্রেমীদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলেছে পুলিশ। মহিলা সমর্থকরাও ছাড় পাননি। তাদের উপরেও লাঠিচার্জ হয়েছে।

পুলিশ রীতিমতো তিন প্রধান ফুটবল দলের সমর্থকদের তাড়া করে। মাঝে ছত্রভঙ্গ হয় ঠিকই, কিন্তু ফুটবলপ্রেমীদের প্রতিবাদ থামেনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে। তিনি বলেন, যাদের আটক করা হয়েছিল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এটা ফুটবল সমর্থকদের জয়।

তিলোত্তোমার জন্য সুবিচার চেয়ে ফুটবলপ্রেমীরা আজ পথে নেমেছিল। ফুটবলপ্রেমীরা বলছেন, এত পুলিশ ডার্বি ম্যাচে থাকলে যথেষ্ট নিরাপত্তাতেই ম্যাচ হতে পারতো। আজকের ম্যাচটা হওয়া উচিত ছিল। একটা খারাপ বার্তা ছড়ালো। তাদের অভিযোগ, তারা জাস্টিস চেয়ে আন্দোলন করবেন বলেই ডার্বিটা হতে দিল না, কিন্তু তারা জাস্টিস চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, বিচার চাইলে মার জুটছে, এ কেমন অবস্থা? তিলোত্তমার হয়ে বিচার চেয়ে আটক হয়েছেন প্রতিবাদীরা। টেনে হিঁজড়ে একসঙ্গে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় ইস্টবেঙ্গল- মোহন সামর্থকদের। পুলিশ লাঠিচার্জ করে প্রতিবাদীদের। কিন্তু পুলিশ প্রতিবাদীদের সরানোর চেষ্টা করলে স্লোগান উঠেছে লাঠিচার্জ করবি কর জাস্টিস ফর আরজি কর। স্থানীয় মানুষ এগিয়ে এসে স্লোগান দিয়েছেন, “ডার্বি কাড়বি কেড়ে নে, মেয়েটাকে ফিরিয়ে দে।”

“তুই আমি একই স্বর জাস্টিস ফর এক আরজি কর”, “চিংড়ি ইলিশ এক স্বর জাস্টিস ফর আরজি কর।” এই স্লোগানগুলোই প্রতি মুহূর্তে বলে দিচ্ছে সকলে কতটা প্রতিবাদে মুখর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *