পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ ফেব্রুয়ারি: ৭০ বছর ধরে বেলদা এলাকায় ছাত্রীদের শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠ। ৭০ বছর আগে সামান্য চালাঘর থেকেই শুরু হয় পঠন পাঠন। তবে বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। বেলদা, সংলগ্ন এলাকা এমনকি পার্শ্ববর্তী একাধিক জেলা থেকেও বহু ছাত্রী এই বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন করে। বিদ্যালয়ে গড়ে তোলা হয়েছে অত্যাধুনিক কক্ষ, স্মার্ট ক্লাসরুম থেকে ল্যাবরেটরি।
প্লাটিনাম জুবলি উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হলো বৃহস্পতিবার। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার পর বিদ্যালয় চত্বরে আভরণ উন্মোচন হলো ১১জন মণিষীর মূর্তির। কাজী নজরুল ইসলাম থেকে রবীন্দ্রনাথ, ক্ষুদিরাম থেকে মাতঙ্গিনী হাজরা, সুভাষচন্দ্র বসু থেকে বি আর আম্বেদকর এক সারিতে ১১টি মণিষীর মূর্তির আনুষ্ঠানিকভাবে আভরণ উন্মোচন করলেন উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় প্লাটিনাম জুবলি পালন অনুষ্ঠানের। পাঁচ দিন ধরে চলছে প্লাটিনাম জুবিলির একাধিক অনুষ্ঠান। ছাত্র-ছাত্রীরা নাচ-, গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করে। শুধু তাই নয়, ছিল একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিনের এই মহতি উদ্যোগে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, নারায়ণগড় বিধানসভার বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট, দাঁতন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান, মন্ত্রী শিউলি সাহা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লক্ষ্মীদাস অট্ট সহ প্রমুখ। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, ছাত্র-ছাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেকে বেশি মনোনিবেশ না করানো, এমনকি আউটডোর গেমসে বেশি করে মনোযোগী হওয়ার বার্তা দেন তিনি। ছোট্ট চারাগাছ থেকে আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠ। একাধিক স্মৃতি ও ইতিহাস বহন করে চলেছে বেলদা এলাকার এই প্রাচীন বালিকা বিদ্যালয়টি।