আমাদের ভারত, ২৫ আগস্ট: আরজিকর কান্ডে তোলপাড় দেশ। এই ঘটনার পর থেকেই আরজিকরের মতো মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ১৫টি জায়গায় অভিযান করেছে সিবিআই। এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, তাড়াতাড়ি রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী সহ একাধিক উপর তলার ব্যক্তিদের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হোক।
সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, আমরা অর্থাৎ বাংলার মানুষ জানতে চাই কবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই যাবে? যারা দুর্নীতির ছত্রছায়ায় রয়েছেন তাদের সবার বাড়িতে সিবিআই যাবে এটাই তো স্বাভাবিক। একটা কথাই বলছি বাংলার মানুষের দাবি, বাংলার মানুষের মনের যেটা ইচ্ছে, সেই বাড়িতে সিবিআই যাক। তার ফোনটা বাজেয়াপ্ত করুন। নিগম সাহেবের ফোনটা বাজেয়াপ্ত করুন। বিনীত গোয়েলের ফোনটা বাজেয়াপ্ত করুন। দু’জন যে মাথায় রয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব কুমার তাদের ফোনের তদন্ত হওয়া উচিত। এরা হলো নাটের গুরু। এরা উপরে বসে সমস্ত বুদ্ধিদাতার কাজ করেন, বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
এদিকে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে ছাত্র সমাজের তরফে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, রাজনীতির সঙ্গে তাদের কোনো যোগ নেই। তারা মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ চাইছেন। এই অভিযান ঘিরে রাজ্য সরকার কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না। যে কোনো রাজনৈতিক দলের নবান্ন অভিযানে যে ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার দ্বিগুণ সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নবান্নর চারিদিকে পুলিশে ছয়লাপ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যারিকেট থাকবে একের পর এক।
যেদিন ছাত্র সমাজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে, সেদিন ইউজিসির নেট পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে যারা পরীক্ষা দেবেন তারা কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কারণ পরীক্ষার দিন রাস্তা অবরুদ্ধ হলে অশান্তি হলে সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে তারা সব রকম ভাবে সাহায্য করবেন।
পরীক্ষা চলবে সাড়ে ন’টা থেকে সাড়ে বারোটা, বিকেল তিনটে থেকে ছ’টা পর্যন্ত।