POK, পাক অধিকৃত কাশ্মীর শীঘ্রই ভারতের হাতে ফিরে আসবে, দাবি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের

আমাদের ভারত, ১৬ মে: বিদেশমন্ত্রীর জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার নাম না করে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের হাতছাড়া হবার জন্য দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুকে দুষলেন। বৃহস্পতিবার নাসিকে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, একজনের দুর্বলতা এবং ভুলের মাশুল গুনছে ভারত। সেই সময় কোন একজন পাকিস্তানের দখল করা ভারতীয় ভূখণ্ড ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে দুর্বলতা দেখিয়েছিলেন। তার ভুলে আজও কাশ্মীরের একাংশ পাকিস্তানের দখলে থেকে গেছে।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করেছেন জয়শঙ্কর। নাসিকে বিশ্ব বন্ধু ভারত নামে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ। কিন্তু একজনের দুর্বল মনোভাব ও ভুলের কারণে আজ তা আমাদের হাতছাড়া হয়েছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এর মতো তিনিও বলেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীর শীঘ্রই ভারতের হাতে ফিরে আসবে। তাঁর দাবি, জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়ন দেখে সেখানকার মানুষ আজ রাস্তায় নেমে উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। পাকিস্তান সরকারের উপর চরম ক্ষুব্ধ অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা। তার একমাত্র কারণ ভারতীয় অংশের কাশ্মীরের ব্যাপক উন্নয়ন। নিজেদের অধিকারের দাবিতে সেখানকার জনতা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। ফলে সেদিন আর বেশি দূরে নয়, তারা যখন আর পাকিস্তান সরকারের অধীনে থাকতে চাইবে না। ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির দাবি ক্রমেই সেখানে জোরালো হচ্ছে।

বিদেশ মন্ত্রী দাবি করেছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার এপারের পরিবর্তন তারা দেখতে পাচ্ছেন। তাই আজ তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “আমরা কেন পাক সরকারের হেনস্থা শিকার হয়ে থেকে যাব? আমরা কেন দুর্ভোগ ভোগ করে যাব? কোন সন্দেহ নেই যে, পাকিস্তান তাদের জন্য কিছুই করেনি। এই অবস্থার উপর আমরা নজর রাখছি। কবে সেটা সত্যে পরিণত হবে। অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মোজফফারাবাদে অরাজকতার শাসন চলছে। হিংসাত্মক প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষ বিরক্ত। জিনিসপত্রের দাম, বিদ্যুতের মাশুল নিয়ে তাদের ক্ষোভ বিরাট আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামছে। পুলিশ বন্দুক নিয়ে এসে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করছে। ফলে অধিকৃত কাশ্মীর যেমন ভারতেরই ছিল তেমনি একদিন ওরাও নিজেরাই এক ভারতে চলে আসবে বলে বিশ্বাস জয় শঙ্করের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *