bomb dropped, air force, Jhargram, ঝাড়গ্রামে বায়ুসেনার ফেলা বোমে পুকুরে পরিণত হলো ধান জমি, ফাটল ধরল গ্রামের একাধিক মাটির বাড়িতে

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, বায়ুসেনার ফেলা বোমে পুকুরে পরিণত হলো ধান জমি। ফাটল ধরল গ্রামের একাধিক মাটির বাড়িতে। কলাইকুন্ডা বায়ু সেনাদের প্রশিক্ষণ চলাকালীন বোমা নিক্ষেপের জায়গা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বোমা নিক্ষেপ করে প্রশিক্ষণরত ফাইটার বিমান। তার জেরে ৪ লক্ষ ভোল্টের হাই টেনশন তার ছিঁড়ে ধান জমিতে বোম পড়তেই কেঁপে ওঠে পুরো গ্রাম। ধান জমি বিশাল আকারের পুকুরে পরিণত হয়। ধান জমির পাশে থাকা বিদ্যুতের ট্রাসফর্মার ও জমিতে জল দেওয়ার পাম্প পুড়ে যায়। বোমার শব্দে গ্রামের একাধিক বাড়ির চালা উড়ে যায়, করো বাড়ির মাটির দেওয়াল ফেটে যায়। ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুর আনুমানিক ৩টের সময় ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইলের থানার অন্তর্গত চামটিডাঙ্গা গ্রামে। এদিন সকাল থেকেই বায়ু সেনার প্রশিক্ষণ চলছিল। বায়ু সেনার ফাইট বিমান কলাইকুন্ডা এয়ার বাস থেকে ওড়া শুরু করে সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত আগাননালীর বোম্বিং এরিয়ায় বোমা নিক্ষেপ করে। গ্রামবাসীরা জানায়, এদিন সকাল থেকে আগাননালীর বোম্বিং এরিয়ায় দিক থেকে প্রায় ৪ বার বোমা ফেলার শব্দ পেয়েছিল তারা। কিন্তু দুপুরে হঠাৎ করে চিত্রটা বদলে যায়। বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে চামটিডাঙ্গা, পেঁচাবিন্ধা, জোড়াশাল, হাঁড়িভাঙ্গা
গ্রামগুলি।

পেঁচাবিন্ধা গ্রামের বাসিন্দা ধান জমির মালিক স্বপন সিং বলেন, “৫ থেকে ৬ দিন আগেই ধান রুয়েছি। বায়ু সেনার বোমা আমার জমিতে পড়ে দেড় বিঘা জমির মধ্যে প্রায় ২০ কাটা জমি পুকুর হয়ে গিয়েছে। জমির মাটি পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে। এই মাটিতে আর ৪ থেকে ৫ বছর ধান চাষ করা যাবে না।” তিনি আরও বলেন, “বায়ু সেনাকে আমার জমির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে”।

পেঁচাবিন্ধা গ্রামের বাসিন্দা জমিতে জল দেওয়ার পাম্পের মালিক বিনয় পাত্র বলেন, “বায়ু সেনার বোম পড়ে আমরা পাম্প, বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার এবং আমার চালা বাড়িটি পুড়ে গিয়েছে।” হরিপদ মাহাতো, ভবেশ মাহাতো, কালীপদ মাহাতোরা বলেন, “আনুমানিক দুপুর তিনটের সময় বিকট বোমের আওয়াজে গোটা গ্রাম কেঁপে ওঠে। মাটির দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। বাড়ির চালা উড়ে যায়”।

খড়্গপুর-চাইবাসা ইন্টারস্টেট ৪ লক্ষ ভোল্টের সিনিয়র ম্যানেজার টিকে সিনহা বলেন, “বায়ুসেনার বোম ৪ লক্ষ ভোল্টের একটি তারে হিট করে এবং তার ছিঁড়ে দেয়। ইন্টারস্টেট এই বিদ্যুৎ পরিষেবার একটি সাইট বন্ধ রাখা হয়েছে এবং অন্য একটি সাইট চালু রয়েছে”। যদিও এই ঘটনার পর থেকে চামটিডাঙ্গা সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। বায়ু সোনার বোম নিক্ষেপ প্রসঙ্গে বায়ু সেনার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *