Soumen Khan, Medinipur Swimming Club, মেদিনীপুর সুইমিং ক্লাবের পক্ষ থেকে ‘সাম্মানিক আজীবন সদস্যপদ’ এ সম্মানিত করা হলো পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান’কে

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ ফেব্রুয়ারি: জেলা শহর মেদিনীপুরের সুপ্রাচীন ও ঐতিহ্যশালী ‘মেদিনীপুর সুইমিং ক্লাব’ (Midnapore Swimming Club)-এর পক্ষ থেকে ‘সাম্মানিক আজীবন সদস্যপদ’ বা ‘অনারেবল লাইফ মেম্বারশিপ’
(Honourable Life Membership)- এ সম্মানিত করা হল মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান’কে। রবিবার সন্ধ্যায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ক্লাবের সভাগৃহে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। মেদিনীপুর শহর তথা ৭৬ বছরের প্রাচীন এই সুইমিং ক্লাবের প্রতি আন্তরিক অবদান রাখায় তাঁকে ক্লাবের সর্বোচ্চ সম্মান ‘সাম্মানিক আজীবন সদস্যপদ’ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ক্লাবের বর্তমান সম্পাদক পল্লব কিশোর চ্যাটার্জি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই ক্লাব এই মুহূর্তে রাজ্যের অন্যতম সেরা একটি সুইমিং ক্লাব হিসেবে পরিচিত। ক্লাবের বর্তমান সাঁতারুরা রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরে নিরন্তর সাফল্য অর্জন করে চলেছে। সেই ক্লাবের তরফে সাম্মানিক আজীবন সদস্যপদ পেয়ে আপ্লুত মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা শহরের বিশিষ্ট সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সৌমেন খান। তিনি বলেন, “আমি শুধু নিজের কাজ করে চলেছি। কখনও আশা করিনি এই সম্মান পাব। ক্লাবের পাশে আগেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। মেদিনীপুর শহরের সুপ্রাচীন এই ক্লাব এবং ক্লাবের সাঁতারুদের আরও সাফল্য কামনা করি।”

এদিনের এই সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে ক্লাব সম্পাদক পল্লব চ্যাটার্জি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক প্রসেনজিৎ সাহা, অরিন্দম দাস প্রমুখ। তাঁরা বলেন, “শুধু পৌরপ্রধান হিসেবেই নয়, শহরের একজন সুপ্রতিষ্ঠিত সমাজকর্মী হিসেবেও তিনি মেদিনীপুর শহর তথা এই ক্লাবের প্রতি আন্তরিক অবদান রেখেছেন। সর্বদা তিনি আমাদের পাশে থেকেছেন। তাঁকে সম্মানিত করতে পেরে আমরাও সম্মানিত।” তাঁরা স্মরণ করিয়ে দেন বিখ্যাত সাঁতারু মাসিদুর রহমান বৈদ্য, দু’টো পা না থাকা সত্ত্বেও যিনি ইংলিশ চ্যানেল ও জিব্রাল্টার প্রণালী অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছিলন।

পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন জেলাশাসক দীপক কুমার ঘোষ, মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বাম রাজনীতিবিদ দীপক সরকার, জেলার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুকুমার ঘোষ প্রমুখ এর আগে ক্লাবের এই সাম্মানিক আজীবন সদস্যপদে সম্মানিত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *