আমাদের ভারত, মালদা, ১ ডিসেম্বর: একমাস সময় উত্তরবঙ্গে কাটালাম। সেটা আমার জন্য মার্গদর্শনের কাজ করবে। ওখানে এলাকার সমস্যা, যা দীর্ঘদিন ধরে আছে, শতাধিক সংস্থা আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা আমার সাথে কথা বলেছে। ওদের কথা আমি মন দিয়ে শুনেছি। উত্তরবঙ্গে সরকারের আরো নজর দেওয়া উচিত। পর্যটনে যে উন্নয়নের কথা ছিল তা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। কলকাতা ফেরার পথে মালদা টাউন স্টেশনে একথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন তার সাথে দেখা করেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
রাজ্যপাল বলেন, রাজনৈতিক গতিবিধি কে বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এটা উচিত নয়। পুলিশ একতরফা কাজ করছে। রুলিং পার্টি সাথে সম্পর্ক আছে এমন দলকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিপক্ষকে সভা করার অনুমতি না দেওয়া প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কুঠারাঘাত। প্রচুর অর্থ এলাকার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু আমার সামনে এসেছে জিটিএ–র অডিট হয়নি। মানুষ প্রচুর অভিযোগ করেছে। দুর্নীতির অভিযোগ করেছে। জিটিএ–র অডিট মাস্ট। জিটিএ’র অডিট এর জন্য আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
একশোর বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে অথচ প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থা তারা দেখেনি। দু’দশক ধরে লোকাল ডেমোক্রেসি দেখেনি। জিটিএ একটা সরকারি বিভাগ হয়ে গেছে ২০১৭ থেকে। এটা আইন বলে না। আমি আজ কলকাতা পৌঁছাব রাজভবনে। এই বিষয় নিয়ে আমি চিন্তাভাবনা করব। যে সমস্যার সমাধান রাজ্য সরকার করতে পারবে সেটা রাজ্য সরকারকে এবং যে সমস্যার সমাধান কেন্দ্র সরকার করতে পারবে সেটা কেন্দ্র সরকার কে জানাব।
কৃষক নিধি প্রকল্প থেকে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সাহায্য মিলত। পশ্চিমবঙ্গের এমন একটি রাজ্য যেখানে খারাপ রাজনীতির জন্য এটা এখনো লাগু হয়নি। রাজ্য সরকারি দপ্তরের পুরো রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে। রাজ্যের অবস্থা এমন হয়ে গেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে কেউ থাকলে পুলিশ একশন মুডে থাকছে। বেঙ্গল গ্লোবাল সামিট পাঁচটি এডিশন হয়েছে। ১২ লাখ হাজার কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্ট দেখানো হয়েছে। এই বিশাল অঙ্কের টাকা কোথায় খরচা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কোথায় কি হয়েছে সেই প্রশ্ন তো আমি করবই। দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে বিজ্ঞাপন বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যপাল।